মোহাম্মদ রুবেল: রপ্তানিমুখী পোষাকশিল্পে শৃঙ্খলা তৈরি, পোশাক খাতের রফতানি বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা প‚রণের উদ্দেশ্যে স¤প্রতি সংসদে বস্ত্র আইন ২০১৮ পাস হয়েছে। এ আইনের আওতায় বিশ্বের নামিদামি প্রায় দেড়শ বায়িং হাউজের লিয়াজো অফিস গুলোকে বস্ত্র অধিদপ্তর হতে নিবন্ধিত হতে হবে।
বস্ত্র অধিদপ্তর হতে জানা যায় নতুন গত ৩০ বছরে দেশে রপ্তানিমুখী বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিকাশ ঘটেছে। এরমধ্যেই গড়ে উঠেছে পোশাকশিল্পে নয় হাজার শিল্প কারখানা। একইভাবে গড়ে উঠেছে বিশ্বের নামিদামি ব্রান্ডের প্রায় দেড়শ বায়িং হাউজের লিয়াজো অফিস। এতদিন এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর সুর্নিদিষ্ট কোনো পোষাক কর্তৃপক্ষ না থাকায় বিনিয়োগ বোর্ডে ৫০ হাজার ডলার জমা দিয়ে লিয়াজোঁ অফিসের অনুমোদন নিতে হতো। তবে স¤প্রতি পোশাকশিল্প উন্নয়নে বস্ত্র আইন ২০১৮ প্রণীত হওয়ায় প্রতিষ্ঠান গুলোকে বিনিয়োগ বোর্ডে যেতে হবে না। নতুন এ আইনের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিদেশী ক্রেতা প্রতিষ্ঠান গুলোর লিয়াজোঁ কার্যালয় গুলোকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতায় নিবন্ধন দেওয়া হবে।
আরও জানা যায়, পোশাক খাতের উন্নয়নে বস্ত্র আইন বাস্তবায়নে ম‚ল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বস্ত্র অধিদপ্তরকে। এআইনের মাধ্যমে এ অধিদপ্তর বস্ত্র শিল্পে ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিবে এবং পরিদর্শন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গুলোর চাহিদা অনুযায়ী কারখানা পরিদর্শন করবে। পরিদর্শনের বস্ত্র শিল্পের পরিদর্শনের জন্য পোষাক কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলগত সক্ষমতা অর্জনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমও গ্রহণ করবে সরকার। এ আইনে বস্ত্র খাতকে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী পোশাক উৎপাদন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী শিল্পের তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংরক্ষণ, গবেষণা, পরিদর্শন, প্রণোদনা ইত্যাদি কার্যক্রমও পরিচালনা করবে বস্ত্র অধিদপ্তর।
জানতে চাইলে বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, পোশাক শিল্প উন্নয়নে গত তিন বছর ধরেই কাজ করছে বস্ত্র অধিদপ্তর। এখাতকে আরো উন্নয়নে সম্প্রতি একটি আইন পাস হয়েছে। এ আইনের গেজেটের অপেক্ষায় আছি আমরা। আইনে তৈরি পোশাক পণ্য পরিবহন, জাহাজীকরণ, তদারকি ও সহায়তা দেওয়ার কথা বস্ত্র অধিদপ্তরের। এ ছাড়া উৎপাদন উপকরণের মাননিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়, কাঁচামাল আমদানি ও রফতানির মতো বিষয় রয়েছে তাদের দায়িত্বের মধ্যে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) সংগঠনটির সভাপতি কেআই হোসেন এ প্রসঙ্গে আমাদরে অর্থনীতিকে বলেন, গত কয়েক দশকে কোনো অভিভাবক ছাড়াই বস্ত্র ও পোশাক শিল্প বড় হয়েছে। ফলে অনেক কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হয়েছে। তবে এখন বর্তমান বস্ত্র আইনের কারণে পোশাক শিল্পক্ষাত অভিভাবক পেয়েছে। এর আওতায় থাকবে এ খাতের বায়িং হাউজগুলোও। কোনো ধরনের হয়রানি আমরা চাই না। ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারলেই আইনের সুফল পাওয়া সম্ভব হবে।
সম্পাদনায়: সোহেল রহমান,হুমায়ুন কবির খোকন
আপনার মতামত লিখুন :