শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ০২:১২ রাত
আপডেট : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ০২:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আল্লাহকে সাক্ষী রেখে কি বিবাহ করা যাবে ?

সাইদুর রহমান: ধর্ম মানব স্বভাবজাত ধর্ম। মানুষকে বিভিন্ন মায়াটানে মিশ্রিত করে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানব সমাজে বংশ বিস্তার এবং নারী ও পুরুষের চরিত্র পবিত্র রাখতে বিয়ের ব্যবস্থা করেছে। ইসলামে বিয়ের নিয়ম খুবই সহজ। সাধ্যাতীত মহর নির্ধারণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলামে বৈরাগ্য নীতির কোনো স্থান নেই। ইসলামে সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে বিয়ে করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে না করা ইসলাম নিষিদ্ধ বিষয়।

বিয়ে প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ আর তোমরা তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।’ -সূরা বাকারা: ১৮৭। হাদিসে স্ত্রীদের জগতের অস্থায়ী সম্পদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে ঘোষণা দয়েছেন নবী করিম (সা.)। ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে একটি দেওয়ানি চুক্তির ফল। অভিভাবকের মাধ্যমে নারী নিজেকে বিয়ের জন্য উপস্থাপিত করে আর পুরু গ্রহণ করে অর্থাৎ ইজাব এবং কবুলের মধ্য দিয়ে একটি বিয়ে সুসম্পন্ন হয়।

ইসলামে বিয়ের রুকন তিনটি। এক. বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ প্রতিবন্ধকতা হতে বর-কনে উভয়ে মুক্ত হওয়া।দুই. ইজাব বা প্রস্তাবনা। এটা মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে পেশকৃত প্রস্তাবনামূলক বাক্য।তিন. কবুল বা গ্রহণ। এটা বর বা বরের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে সম্মতিসূচক বাক্য।

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্তগুলোর অন্যতম হলো-

১. ইশারা করে দেখিয়ে দেওয়া কিংবা নামোলে¬খ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উলে¬খ অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেওয়া।
২. বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া।
৩. বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখা। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোনো বিয়ে নেই।’
এই হলো সংক্ষেপে বিয়ে প্রসঙ্গে ইসলামের বিধান। এর অনেকেই আল¬াহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে ওই বিয়ে শুদ্ধ নয়।

পূর্বেই বলা হয়েছে, বিয়ের জন্য সাক্ষী জরুরী। সাক্ষীর দু’জন বিবেকবান প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা একজন পুরুষ , দু’জন মহিলা সাক্ষীর সামনে ইজাব-কবুল করা অত্যাবশ্যক।
সাক্ষী ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় না। এ হিসেবে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী মনে করা এবং সে রকম আচরণ করা কবিরা গোনাহ। পরকাল ও চিরস্থায়ী আজাবের কথা মাথায় রেখে এ জাতীয় গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাক্ষী ছাড়া কোনো বিয়ে হয় না। -তিরমিজি শরিফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়