তরিকুল ইসলাম : নকশী কাঁথার প্রত্যেক নকশা ও সূতায় মিশে আছে গ্রাম-বাংলার জীবনযাত্রা, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেক গ্রামে নারীরা তাঁদের মনের মাধুরী আর কল্পনাশক্তিকে সুই-সূতার নকশায় অপূর্ব ভাবে ফুটিয়ে তুলেন।
মঙ্গলবার সকালে জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাপানী প্রতিষ্ঠান রসুন কর্তৃক আয়োজিত “বাংলাদেশের নকশী কাঁথা” শীর্ষক এক আলোচনা ও প্রদর্শনীতে এসব কথা বলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, নকশী কাঁথা গ্রাম্য জীবনের প্রতিচ্ছবি এবং তা এখন কাঁথা ছাড়াও বিভিন্ন শাড়ি, কুর্তা, গৃহসজ্জা দ্রব্যাদি ইত্যাদি পণ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। রসুন বাংলাদেশের নকশী কাঁথা নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতি জাপানে তুলে ধরতে সহযোগিতা করছে। এ জন্য সংশ্লিস্ট সকল কে ধন্যবাদ।
এতে বাংলাদেশের নকশী কাঁথা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। রসুন তাঁদের এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত নকশী কাথা ও নকশী কাঁথা দিয়ে প্রস্তুতকৃত দ্রব্যের প্রদর্শন করেন। বাংলাদেশের নকশী কাঁথার ঐতিহ্য ও সম্ভাবনার কথা জাপানীদের কাছে উপস্থাপন করেন রসুনের মিয়েকো মাগামি এবং শিনজি মাগামি।
রসুনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা স্মারক হিসাবে রসুনের তৈরী “জীবজন্তু রহরী কাঁথা” নামক নকশী কাঁথা উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাতসুহিরো হরিগুচি, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক চিসাকো নিশিতানি, জাইকার উপ-পরিচালক তাকাউকি সুগাওয়ারে ও জাপানী সংস্থা মেক্সট, টাফস, আলফস প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :