শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:০১ সকাল
আপডেট : ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি ও রাজনীতি

দেবদুলাল মুন্না : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদ- দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সাজা বহাল থাকলে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সরকার চায় না বিএনপি নির্বাচনে আসুক কিংবা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক- এই যে অভিযোগ নানা মহল থেকে রয়েছে, তা অমূলক বলে মনে হয় না অনেকের কাছেই বিদ্যমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে। যদি সরকার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এটা আন্তরিকভাবে চাইত, তাহলে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাত। কিন্তু এমনটি তো কোনোভাবেই পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলাটি করা হয়, যার পেছনে প্রতিহিংসামূলক মনোভাব প্রকট ছিল- এই অভিযোগ পুষ্ট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এমনটি নানারকম বৈরী পরিস্থিতি সৃষ্টি পথ আরও প্রশস্ত করল। ২১ আগস্ট হামলা-মামলার রায়ও ঘোষণা করা হলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে। এমন প্রেক্ষাপটে (যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়) ভোটদাতাদের মনে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ অন্য নেতাদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণার জন্ম দেওয়ার পথও সৃষ্টি করা হচ্ছে।

অন্যদিকে মানবাধিকার কমিশনের ড. মিজানুর রহমান বলেন, খালেদা জিয়া অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। এ দুর্নীতি মামলা কয়েক বছর ধরে চলছে। অনেক মামলা এমনকি দশকের পর দশক ধরে চলে, এমন খবর গণমাধ্যমে দেখা যায়। অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, সরকার কিংবা বাদী পক্ষই এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহী থাকে। কিন্তু এ মামলার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অভিযুক্ত বা বিবাদী পক্ষ মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। যারা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছে, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়েছে, জনগণের কাছে নিজেদের নিস্কলুষ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছে, তারা কেন এমন অপকৌশল গ্রহণ করল- সেটা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। খালেদা জিয়া অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়