আশিক রহমান : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ আহ্বানে সাড়া দিয়ে কোনোপ্রকার পূর্বশর্ত ছাড়াই ক্ষমতাসীন দলের আলোচনায় বসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কোনোপ্রকার পূর্বশর্ত ছাড়া সংলাপ সংবাদে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাহ! পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপ, স্বাগতম। সংলাপ হোক, বাংলাদেশের জন্য। গণতন্ত্র ও গণমানুষের জন্য। উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংরক্ষণ, চর্চা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য। সড়কে যে নৈরাজ্য চলছে, তা থেকে মুক্তির জন্য। সংলাপ বা আলোচনাই সংকট নিরসনের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফরম। আলোচনার প্রেক্ষিতে সংকটগুলো নিরসন করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আসন্ন। খুব বেশিদিন নেই। সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের প্রত্যাশা সব দলই করছে। সব মানুষ করছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপরিচালিত হলে জনগণ অনেক বেশি উপকৃত হবে। সব দলের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক থাকলে দেশ লাভবান হবে। সংলাপ একটা সুযোগ হয়ে এসেছে। সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে। ঐক্যফ্রন্ট বা অন্য কেউ যেন সরকারের সংলাপে সাড়া দেওয়াটাকে দুর্বলতা হিসেবে না দেখে। পূর্বশর্ত ছাড়া সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করি আমি। আন্তরিকতা না থাকলে শর্তহীন থাকতো কী সংলাপ? থাকতো না। এটা একটা বড় সুযোগ। সবার উচিত এগিয়ে আসা। সংলাপ সফলতায় আন্তরিকতা প্রদর্শন করা।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সংলাপ সফলতা নির্ভর করছে দলগুলোর আন্তরিকতার ওপর। দায়িত্বশীলতার ওপর। দায়িত্বশীল আচরণ ও আন্তরিক মনোভাব সংলাপে সফলতা বয়ে আনতে পারে। খোলা মন নিয়ে সংলাপে বসতে হবে। ছাড় দেওয়ার মানসিকতাও থাকতে হবে। খোলা মন ও ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকলে আলোচনা ফলপ্রস্যূ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :