মুসফিরাহ হাবীব : আর বড়জোর ৬ বছর। এরপরই হয়ত মহাকাশে জন্ম নেবে প্রথম মানবশিশু।
রকেটে করে মহাকাশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারীকে। আর তারপর পৃথিবী থেকে ২৫০ মাইল ওপরের কক্ষপথেই জন্মাবে শিশুটি- এমনই পরিকল্পনা বিজ্ঞানীদের। এ মিশন সফল হলে ২০২৪ সালেই মহাকাশে আলোর মুখ দেখবে নতুন প্রাণ।
মহাকাশে নারীর মাতৃত্বের এ অভিযানের পরিকল্পনা করেছে নেদারল্যান্ডসের ‘স্পেসলাইফ অরিজিন’ নামের একটি কোম্পানি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, অভিযানটি হবে ৩৬ ঘণ্টার। অন্তঃসত্ত্বা নারীর সঙ্গে থাকবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলও।
স্পেসলাইফ অরিজিন এরই মধ্যে স্বেচ্ছাসেবীও খুঁজতে শুরু করেছে, যারা মহাকাশে সন্তানের জন্ম দিতে ইচ্ছুক। তবে সেক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবীদের পৃথিবীতে অন্তত দু’টি সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার রেকর্ড থাকতে হবে।
অভিযানটির নাম, ‘মিশন ক্রেডল’। বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি শিশুর জন্য এটি তেমন বড় পদক্ষেপ না হলেও মানবজাতির জন্য নিঃসন্দেহে অনেক বড় পদক্ষেপ। মহাকাশে মানবজাতির উপনিবেশ গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য।
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মহাকাশে নেওয়ার সময় স্বাভাবিক মহাকর্ষীয় বলের বাইরে রাখা হবে। মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হবে প্রায় ২৫ জনের একটি দলকে, যাতে দু’দিনের মিশনে কোনো না কোনো শিশুর জন্ম হয়।
ভ্রূণের বয়স সাড়ে আট মাস হলে তবেই সেই অন্তঃসত্ত্বাকে মহাকাশে পাঠানো হবে। স্পেস সিমুলেটরে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে কি করা হবে সে প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হবে।
২০২২ সালেই এ মিশনের জন্য নারীদের বাছাই করা শুরু হবে। আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছেন এমন নারীরা এ মিশনে অংশ নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্পেসলাইফের প্রধান নির্বাহী কেইস মুল্ডার বলেন, “মানবজাতির স্বার্থেই মহাকাশে শিশু জন্ম দিতে শেখা প্রয়োজন।”