এনটিভি অনলাইন : পরিবহন ধর্মঘটে নবজাতকের মৃত্যুসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
গতকাল রোববার লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এসব জানতে পেরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মৌলভীবাজারে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা দেওয়ায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর দায় কার?’
নিসচার প্রচার সম্পাদক এ কে এম ওবায়দুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
অনতিবিলম্বে সড়কে নৈরাজ্য বন্ধ করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়কে মানবিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে। ধর্মঘট অথবা কর্মবিরতির অধিকার শ্রমিকদের আছে। তবে তা না মানার অধিকারও একজন মানুষের আছে। এ ধর্মঘটের ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।
এই জনভোগান্তিতে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে ইলিয়াস কাঞ্চন অনতিবিলম্বে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জনগণকে প্রতিপক্ষ করে তারা কী চাইছেন? দাবির যৌক্তিকতা যদি থাকে তাহলে জনগণের কাছে যান। দাবি তুলে ধরে জনমত তৈরি করেন। সেটাই হবে প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চা। এটা কি জোর করে বাধ্য করে কোনোকিছু আদায় করার নামে প্রতিপক্ষ তৈরি করা? তারা কি জনগণকে প্রতিপক্ষ বানাতে চাইছে বা প্রতিপক্ষ বানিয়ে কোনো ইস্যু তৈরি করতে চাচ্ছে? এসব অপ্রীতিকর ঘটনায় তারা কী আবার সাধারণ জনগণকে মাঠে নামাতে চাইছে? আমি তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করব, এসব অপ্রীতিকর ঘটনা বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কর্মসূচি পালন করুন।’
নিসচার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমি সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। এতে কেউ আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করলেও আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। সবাইকে নিজের বন্ধু ভাবি। আমি মনে করি সবার সম্মিলিত উদ্যোগে সড়ককে নিরাপদ করা সম্ভব। কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা আলোচনা করে সমাধান করা সম্ভব। জোর করে বা প্রতিহিংসা দিয়ে নয়।’ উৎসঃ এনটিভি
আপনার মতামত লিখুন :