আসিফুজ্জামান পৃথিল : বেশ কয়েকবছর ধরেই সৌদি আরবের একটি কারাগারে বিনা বিচারে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু আটক রয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে চিহ্নিত করার পরেও তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ৪ মাসব্যাপি এক তদন্তের পর এ সংবাদ প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট আই।
সৌদি আরব এবং বাংলাদেশে বসবাসকারি অনেক রোহিঙ্গা এই বিনা বিচারে আটকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদের অনেকেই আবার সৌদি কয়েদখানা থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। এদেরই একজন মিডল ইস্ট আইকে জানান তিনি জেদ্দার এক কয়েদখানায় ৬ বছর আটক ছিলেন। সেখানে তাকে মানবেতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। উন্নত জীবনের আশায় সৌদি আরবে গেলেও তিনি বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে এখন অনেক ভালো আছেন। সকল বয়সের নারী পুরুষ ছাড়াও কয়েদখানাটিতে শিশুরাও বন্দী রয়েছে। নিজের ছদ্মনাম ব্যবহার করে আবু উবায়েদ নামে একজন চোরাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কয়েদখানাটি থেকে মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘এখানে যারা আছে তারা সবাই পালাতে চায়। আমরা এখানে ভয়াবহ বন্দী জীবন কাটাচ্ছি। এখানে নকল পাসপোর্ট ব্যবহার করায় অনেকেই আটক রয়েছে। কিন্তু আপনারা আমাদের কাছে এর ভিন্ন আর কি আশা করতে পারেন। মিয়ানমারের সরকার আমাদের পাসপোর্টের মতো কোন পরিচয় পত্রই দেয় না। এতদিন আটকে থাকাটা খুবই অস্বস্তিকর। আমাদের যাবার স্থান বা সুযোগ নেই। স্বাধীনভাবে বাঁচা আমাদের অধিকার। ১০ লাখের মতো মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাদের কারো পাসপোর্ট নেই। কই বাংলাদেশ তো তাদের কয়েদ করেনি।’
বন্দীরা মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, অনেক কিশোর কিশোরি এখানে আটকে থেকে তাদের মানষিক ভারসাম্য হারিয়েছে। এই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত এবং নেপালের পাসপোর্ট ব্যবহার করে সৌদি আরবে এসেছে। তারা বছরের পর বছর সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত। একটি কক্ষে অনেককে গাদাগাদি করে রাখায় মানষিক সমস্যার পাশাপাশি তাদের নানান শারিরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। জানা গিয়েছে অনেকে উন্মাদও হয়ে গিয়েছে। মিডল ইস্ট আই
আপনার মতামত লিখুন :