ফয়সাল মেহেদী: সরকারের সুনজরে সুদিন ফিরছে হস্তশিল্পপণ্য বা হাতে তৈরিপণ্যের রপ্তানিতে। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে এ খাত থেকে প্রায় ১ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জন্য এ খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর মধ্যে প্রথম তিন মাসে যে লক্ষ্যমাত্রার ছিল তার বিপরীতে আয় বেশি হয় ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হার ৪২ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অনেক বেশি আয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে হস্তশিল্পের মধ্যে পাটের তৈরি পণ্য, বাঁশ-বেতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঝুড়ি, পাখির খাঁচা, ফুলদানি, মানিব্যাগ, চাবির রিং, ফ্লোর কাভারিংয়ের ম্যাট বা কার্পেট, নকশি কাঁথা ও নকশি বেডশিটসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এসব পণ্য ইউরোপ, আমেরিকাসহ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি হয়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য এ খাত থেকে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর মধ্যে প্রথম তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩ লাখ ১০ হাজার ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪২ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি। আগের বছরের একই সময়ে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এ বিষয়ে বাংলা ক্রাফটের সভাপতি আশরাফুর রহমান ফারুক বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের তৈরি হস্তশিল্পপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সরকারও এ খাতের জন্য ছাড় দিচ্ছে। হস্তশিল্পপণ্য রপ্তানিতে মিলছে নগদ সহায়তা। একশো ডলারের হ্যান্ড্রি ক্রাফট এক্সপোর্ট করতে পারলে ১০ ডলার দিচ্ছে সরকার। এতে রপ্তানি আয় বেড়েছে। পরিবেশ-পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয় ১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আয় হয় প্রায় ১ কোটি ডলার। -সম্পাদনা: শাহীন চৌধুরী
আপনার মতামত লিখুন :