শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:৪৪ দুপুর
আপডেট : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলনবিলে মৎস হিমাগার না থাকায় বিপুল লোকমাসের মুখে মৎসজীবিরা

জাকির আকন, চলনবিল : দেশের মৎস ভান্ডারখ্যাত চলনবিলের ৯টি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বর্ষা মৌসুমে বিলের জলাশয় থেকে মৎস শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আর চলনবিল এলাকায় আহরণকৃত মৎস সংরক্ষনের জন্য সরকারী ও বেসরকারীভাবে কোন হিমাগার না থাকায় প্রতি বছর কয়েকশ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে মৎসজীবি ও শুকটি চাতাল ব্যবসায়ীরা ।

চলতি মৌসুমের শুরুতে নিন্মচাপ ও বৃষ্টিপাতে ৫ শতাধিক শুটকি চাতাল ব্যবসায়ী বিপুল লোকশানের মূখে পড়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চালে সামদ্রিক মাছ সংরক্ষেনের জন্য হিমাগার থাকলে দীর্ঘ দিনেও চলনবিল এলাকায় মৎস হিমাগার গড়ে উঠেনি। বর্ষার পানি নামার সময় বিলের বিভিন্ন স্থানে মৎস শিকারির জালে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মিঠা পানির টেংরা,,পুটি, খরসে,বোয়াল, শোল, টাকি, কৈ, গজাল, চিংড়ি, বাতাসি, বাইম, গুচি, মাগুও, জিয়াল, বিল পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন জাতের মাছ প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টন ধরা পড়ছে । মৎস ভান্ডারখ্যাত চলনবিলের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর , চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, গুরুদাসপুর , সিংড়া ও আত্রাই উপজেলার বিস্তির্ণ চলনবিল এলাকায় ৫শতাধিক শুকটি মাছের চাতাল গড়ে উঠেছে । প্রতি বছর বিল থেকে আহরণকৃত মাছ সংরক্ষেনের অভাবে অনেকাংশে বিনষ্ট হয় ।

মহিষলুটি মৎস আড়তের সভাপতি ও স্থানীয় ইউ,পি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান জানান এই মৎস আড়তে প্রতিদিন ১০-১৫ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়। দেশের মৎস সম্পদ রক্ষায় মহিষলুটি বাজারে একটি মৎস হিমাগার হওয়া দরকার। চলনবিলের হামকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম খান জানান তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি মৎস আড়ত খুব সকালে বাজার শেষ হওয়ায় বিল এলাকার দিনের বেলা ধরা মাছ গুলো বিকেলেই মরে যায়। হিমাগার থাকলে সংরক্ষণ করে ২মাস পরেও বিক্রি করা সম্ভব হতো ।

বিলের গ্রামের বাসিন্দা রাশিদুল ইসলাম জানান একটি বড় জালে অনেক সময় ১দিনে ১শ মন মাছ ধরা পরে কিন্তু মাছের আড়তে পৌছানোর পূর্বে মরে বিনষ্ট হয়, হিমাগার থাকলে ভালো হতো। তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি এলাকার শুকটি চাতাল ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর জানান দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তার ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে । তিনি আরো বলেন দূর্যোগে সময় শুকটি চাতালের মাছ সংরক্ষণে জন্য হিমাগার থাকলে তাদের এই আর্থিক ক্ষতির শিকার হতো না ।

তাড়াশ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান জানান দেশের অন্যতম বিল চলনবিল এলাকার মৎস সম্পদে সংরক্ষণে হিমাগার নির্মাণে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা দরকার ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়