শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:২৭ সকাল
আপডেট : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রাম কারাগারে দুর্নীতির মাধ্যমে মাসে কোটি টাকা আদায়

হ্যাপি আক্তার :বন্দি ধারণ ক্ষমতা মাত্র ১৮’শ হলেও চট্টগ্রাম কারাগারে এখন বন্দি আছে প্রায় ৫ গুণ বেশি।অভিযোগ, অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে আদায় করা হচ্ছে কোটি টাকার বেশি যা পরে ভাগাভাগি হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। এই কারাগার জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসকে নগদ, এফডিআর এবং ব্যাংকের চেকে প্রায় ৫ কোটি টাকাসহ আটকের পর বেরিয়ে আসে এই অনিয়মচিত্র। ভৈরবের কারাগারে আটক সোহেলকে পুলিশ রিমান্ডে নিতে আজ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা।

দস্বজনদের সাক্ষাতে কোনো ফি নেই’ এমন কথা লেখা আছে কারাগারের সামনের সাইনবোর্ডে। অথচ জামিনে বেরোনো বন্দিরা বলছেন, সাক্ষাৎপ্রার্থী স্বজনদের দিতে হয় ২০০ থেকে ১৪০০০ টাকা। এছাড়া সুস্থ বন্দিকে অসুস্থ দেখিয়ে কারা হাসপাতালে রাখার সুবিধার জন্য দিতে হয় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। নাওয়া-খাওয়া, রাতে ঘুমানোসহ নির্দিষ্ট কিছু সুবিধার জন্য সপ্তাহে বন্দিদের গুনতে হয় ন্যূনতম ২ হাজার টাকা।

চা নাস্তাসহ ছোট-খাট কেনাকাটার জন্য দিতে হতো বহুগুণ বেশি দাম। এসব চলে কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে, যা বাইরে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। যদিও কারাগারে আসা সবারই রয়েছে এসব অভিজ্ঞতা।

কারাগারে দেখতে আসা স্বজনরা বলছেন, টাকা না দিলে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। টাকা দিলেই আসামির সাথে দেখা করা যায়। টাকা ছাড়া দেখা করার কোনো উপায় নেই।

সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামি জামাল, জসিম আর জিল্লুরের তত্ত্বাবাধানে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট বন্দিদের কাছ থেকে নেয়া টাকা পৌঁছে দিতেন কর্মকর্তাদের, এমন অভিযোগ সবার মুখে মুখে।

সোহেলের কাছে পাওয়া ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ব্যাংক চেকও খাদ্য সরবরাহকারী ৩ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের, যারা খাবার সরবরাহকারী হিসাবে তালিকাভুক্তির জন্য এ ঘুষ দেয়, নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইপি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক বলেছেন, উশৃঙ্খল ও অসৎ আচরণের কারণে সোহেল এর আগেও ৩-৪ বার শাস্তি পেয়েছে। এবারও তার বেতিক্রম হবে না।

সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আর কারাগারের সব অনিয়ম বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলা সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়