সুজন কৈরী: এনজিও’র মাধ্যমে র্অথ আত্মসাৎ ও জঙ্গি অর্থায়ন এবং অর্থ পাচারকারী চক্রের ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির অর্থানইজড ক্রাইম বিভাগ। রোববার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফজলুল হক রিকাবদার, হুমায়ুন কবীর, আশরাফুল হক, আসগর হোসাইন, শেখ শাহজাহান কবীর, মনিরুল ইসলাম, আব্দুর রউফ ও আল মামুন খন্দকার।
সোমবার সিআইডি জানায়, চক্রটি র্দীঘদিন ধরে দেশ-বিদেশের ধর্মীয় উগ্রগোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ এনে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৌলবাদ ও জঙ্গবিাদ প্রচারণার কাজে ব্যয় এবং র্অথ আত্মসাৎ করে আসছিল। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে রামনা থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, ১৯৭৭ সালে ‘বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার প্রতিষ্ঠাতা ‘রাজাকার বাহিনী’র প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সাবেক নায়েবে আমীর, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অবস্থায় ২০১৪ সালে মারা যাওয়া মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ।
জঙ্গি অর্থায়ন : ২০১২-২০১৬ সালে মোস্তাক আহমেদ খাঁ তুরস্কের ধর্মীয় উগ্র গোষ্ঠী থেকে অর্থ এনে হবিগঞ্জ এর বানিয়াচং উপ-জেলায় জঙ্গিবাদ বিস্তার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন করেছে। পরবর্তীতে মোস্তাক আহমেদ খাঁ এর নামে মামলা হলে বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি তাকে তুরস্ক থেকে অর্থ এনে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নবধারা কল্যাণ ফাঊন্ডেশন এর ভারা অফিস (বাড়ি নং-৭৫, রাস্তা নং-১১, মিরপুর ডিওএইচএস, ঢাকা থেকে নব কৃষি প্রাইভেট লিঃ এর কর্মচারী ইসমাইল হোসেন ও নবধারা কল্যাণ ফাঊন্ডেশন এর নির্বাহি অফিসার হাসানুল বান্নাকে জঙ্গিবাদ প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ কাউন্টারসহ টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (ডিএমপি) গ্রেফতার করে। নবধারা কল্যাণ ফাঊন্ডেশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাসউদ নিয়োগ দিয়ে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করেছে।
সিআইডি অনুসন্ধানে জানতে পারে, কক্সবাজার-২ (মহেশখালি-কুতুবদিয়া) আসনের জামায়াতে ইসলামীর সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ এর নির্দেশে ‘বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি’র অ্যাকাউন্ট থেকে ৪২ লাখ টাকা ‘নব কৃষি প্রাইভেট লিমিটেড সানান্তর করা হয়। একইভাবে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি থেকে নব কৃষি প্রাইভেট লিমিটেড’ এর অ্যাকাউন্টে আরও ১০ লাখ টাকা স্থানান্তর করে। বাংলাদেশ চাষী কল্যাণের নামে তারা অধিকাংশ বিদেশী অনুদান সংগ্রহ করলেও তা চাষীদের কল্যাণে ব্যয় না করে তাদের ই”ছামত মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণে কিছু অংশ ব্যায় করেন এবং অবশিষ্ট টাকা দেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রচারণার কাজে ব্যয় করে।
আপনার মতামত লিখুন :