মুসফিরাহ হাবীব : এ আয়োজন প্রথাগত সুন্দরী হিসাবে বিবেচিত নারীদের জন্য নয়। বরং সেইসব মোটা ‘প্লাস-সাইজ’ নারীদের জন্য যারা নিজেদের সৌন্দর্যের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী।
২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে এ প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ওই বছর অংশ নিয়েছিল মাত্র ৯ জন নারী। আর এ বছর জাতীয় পর্যায়ে এই ‘মিস ব্রিটিশ বিউটি কার্ভ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ৪০ জন নারী। ২০১২ সালের তুলনায় এ সংখ্যা চারগুণ বেশি।
প্লাস সাইজ প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য র্যাম্পে হাঁটেন মোটা স্বাস্থ্যের অধিকারী নারীরা। তারা প্রদর্শন করেন তাদের সৌন্দর্য আর দেহের কার্ভ। নিজেদের সৌন্দর্য দিয়ে তারা প্রমাণ করেন শুকনো হাড় জিরজিরে হওয়াই শুধু সুন্দরের পরিচয় নয়।
মোটা হওয়ার কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যে নারীদের এ প্রতিযোগিতা তাদের নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায়। তারা যেমন তা নিয়েই গর্ব বোধ করার অনুপ্রেরণা জোগায়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে অবিবাহিত, বিবাহিত এমনকি মা হওয়া নারীরাও।
এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া এক নারীর উক্তি, “মোটা হওয়ার কারণে অসুন্দর বোধ হলে কেমন লাগে তা আমরা জানি। আর তাই আমরা এ প্রতিযোগিতায় এসেছি। এখানে এসে নিজেকে বিশেষকিছু বলে ভাবতে পারছি।”
এ বছর প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারীদের বেশির ভাগই কোনো না কোনো সময় প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হওয়ার পর এতে অংশ নেন। কেউ মোটা হওয়ার কারণে সমাজে উত্তক্তের শিকার হয়েছেন, কাউকে স্কুলে উত্তক্তের শিকার হতে হয়েছে, কারো হয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদও। ২২০ পাউন্ড খরচ করে প্রতিটি নারী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
আপনার মতামত লিখুন :