ইসমাঈল হুসাইন ইমু : 'ধর্মঘট চলিচ্ছে চলুক, হামাগের দুটাকা বেশি আয় হচ্ছে। হরতাল হলিতো এত আয় হয়না'।কথাগুলো বলছিলেন আগারগাঁও এলাকার রিকশা চালক মানিক। ঢাকায় বেশ কিছুদিন ধরে রিকশা চালান তিনি। বগুড়া থেকে আসা এ্নই মানিক বলেন, কি জন্যি ধর্মঘট তা জানেননা। কিন্তু আয় ভাল হচ্ছে এতেই খুশি সে।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘট সামনে রেখে স্বেচ্ছাচারিতায় মেতেছেন রাজধানীর রিকশা-অটোরিকশা চালকেরা। ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকিয়ে জিম্মি করছেন যাত্রীদের। সুযোগ পেয়ে ভিআইপি সড়কেও নির্বাধায় চলছে রিকশা। কর্মমুখী মানুষ বাধ্য হয়ে এসব বিকল্প বাহন ব্যবহার করায় পোয়া বারো চালকদের।
বিভিন্ন সড়কে রোববার সকাল থেকেই যাত্রীবাহী বাস চলাচলে অবরোধ সৃষ্টি করে শ্রমিকরা। বাদ যায়নি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও। তবু রিকশার পাশাপাশি অটোরিকশা চলেছে বিভিন্ন রুটে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে নিরুপায় হয়ে রিকশা-অটোরিকশার দিকে ঝুঁকতেই বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর এ সুযোগে তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করেছে তারা। অনেকে আবার কোনো বাহনের তোয়াক্কা না করে গন্তব্যে রওয়ানা হয়েছেন হেঁটেই।
রাজধানীর কয়েকটি ভিআইপি ও ব্যস্ত সড়ক ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর, ফার্মগেট রিকশাভ্যান চলাচল করছে। এছাড়া বিজয় সরণি ও আগারগাঁও থেকে এলেনবাড়ি যাওয়ার ভিআইপি সড়কেও অবাধে চলতে দেখা গেছে রিকশা-ভ্যান। সিরিয়াস রোগীকে হাসপাতালে নিতেও ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভ্যান
মিরপুর ১০ থেকে আগারগাঁও আসতে সাধারণ সময়ে ৪০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। সেখানে পরিবহন ধর্মঘটের সুযোগে ১৫০ টাকা নিচ্ছেন রিকশাচালকরা। আগারগাঁও থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আসতে আরও ১২০ টাকা ভাড়া গুনছেন যাত্রীরা। মিরপুর ১০ থেকে ফার্মগেট, মোহাম্মাদপুর, গাবতলী, নিউমার্কেট ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে ডাকা-ডাকি করছেন রিকশাচালকরা। এক ভ্যানের মধ্যে ছয়জন যাত্রী। শেওড়া পাড়া থেকে ফার্মগেট যাত্রী প্রতি ৫০ টাকা।
এদিকে মিরপুর, ফার্মগেট কারওয়ান বাজার, কাকলী, মহাখালী প্রতি স্থানেই হাজার হাজার মানুষকে পরিবহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :