আশিক রহমান : জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বি.ডি রহমতউল্লাহ বলেছেন, মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌড়াত্ম্যের কারণে উৎপাদিত চালের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষক। এ পরিস্থিতি পরিবর্তনে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন,
এক কেজি চালের উৎপাদন ব্যয় যদি ৭-৮ টাকা পড়ে তাহলে কৃষককে কমপক্ষে ১০ টাকা বিক্রি করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগীরা উৎপাদন ব্যয়েই ওই চাল কিনছে। কিন্তু আমাদের কাছে বিক্রি করছে ৪০ টাকায়। মাঝখানের এই গ্রুপটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই শাসনামলেই আমরা সক্রিয় দেখে আসছি। যারা এসব চাল ক্রয় করে, পরিবহন করে মধ্যসত্ত্বভোগীরা প্রচুর টাকা লাভ করছে। এখানে খুচরা বিক্রেতারা এত লাভ করতে পারে না। দেখায় যায় ২০-২৫ টাকা লাভ করছে মধ্যসত্ত্বভোগীরা। লাভটা উৎপাদক বা খুচরা বিক্রেতাদের কেউ পায় না। কাজেই উৎপাদনকারীরা টিকতে পারছে না। হিমসিম খাচ্ছে। বিপাকে পড়েছে। যার ফলে তাদেরকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বি.ডি রহমতউল্লাহ বলেন, মধ্যসত্বভোগীরা বিএনপির শাসনামলে বিএনপি করে, আওয়ামী লীগ আমলে আওয়ামী লীগ। এরা প্রয়োজনমতো দল বদলে ফেলে। এমন একজন পার্টনার রাখেন তিনি হয় আওয়ামী লীগ বা বিএনপির। যখন যে সরকার আসে সে সুবিধাটা নেয় তারা। এর ফলে তাদের কোনো সমস্যা হয় না। লুটের ব্যাপারে সরকার কখনো দায়িত্ব পালন করবে না।
তিনি বলেন, কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। সার, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য উপকরণের দামও বেড়ে গেছে। যে কারণে তাদের সমস্যা হচ্ছে। উৎপাদিত চাল বা পণ্য বিপাকে পড়ছেন। লোকসান দিচ্ছেন। সরকারকে এখানে দায়িত্ব নিতে হবে। কৃষকদের রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :