আরিফুর রহমান তুহিন: আমদানিতে ডলারের ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি দাম নেওয়ায় কারণ জানতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চিঠিতে তথ্য গোপন করার কারণ ও কেন তাদেরকে জরিমানা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ৩ দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বিবি সূত্র জানায়, বেসরকারি ডাচ বাংলা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক ঘোষণার চেয়ে বেশি মূল্য নিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এর কারণ ব্যখ্যা চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। চিঠির সঠিক উত্তর দিতে না পারলে এবং তদন্তে দোষি সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, উল্লেখিত ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছ থেকে যে মূল্য নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তার থেকে কম দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে তারা জানিয়েছে আমদানিতে প্রতি ডলারের বিপরীতে ৮৩ টাকা ৮৫ পয়সা নিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে পেরেছে বাস্তবে তারা ৮৪ টাকা ৯০ পয়না পর্যন্ত দাম নিচ্ছে। এমন মিথ্যা তথ্য কেন দেওয়া হয়েছে এবং কেন তাদেরকে এজন্য জরিমানা করা হবে না তা জানতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ডলারের মূল্য অনেক বেশি শক্তিশালি হচ্ছে। পার্শবর্তি দেশ ভারতে বড় ধরণের পরিবর্তন হয়েছে ডলারের মূল্যে। এছাড়া বাংলাদেশেও গত এক বছরে প্রতি ডলারে প্রায় ৩ টাকা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বাংলাদেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি অনেক বেশি। তাই ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকগুলোকে নৈতিক চাপের মাধ্যমে আমদানিতে ডলারের দর ৮৩ টাকা ৮৫ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। শোকজ করা ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে এরকম দর দেখালেও প্রকৃতপক্ষে বেশি নিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৯৫৪ কোটি ডলারের আমদানি হয়। প্রথম তিন মাসে রফতানি হয় ৯৯৪ কোটি ডলার। আর প্রবাসী আয় এসেছে ৩৮৬ কোটি ডলার। বাজারের বাড়তি চাহিদা মেটাতে প্রচুর ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সর্বশেষ চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছরের রোববার পর্যন্ত (২৮ অক্টোবর) ২৩১ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আপনার মতামত লিখুন :