সাজিয়া আক্তার : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা নেই মহাজোটের শরিকদের মধ্যে। ক্ষমতায় যাওয়াই মুখ্য উদ্দেশ্য তাদের। আসন নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ না হলেও জোটেই থাকার কথা বলছে শরিকরা। শরীকদের জন্য ৭০ থেকে ৮০টি আসন থাকতে পারে এমনটাই ধারণা দিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে তফসিলের আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। সূত্র : সময় টিভি
দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর নির্বাচনে যেতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীকরা কে কতটা আসন চাইবে তার হিসেব নিকেশে ব্যস্ত সবাই। তবে শরীক নেতারা বলছেন, না পেলে ও আসন বাড়া-কমা নির্ভর করছে বিএনপির নির্বাচনে আসা না আসার ওপর। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী আসন না পেলেও জোট ছাড়বেন না তারা।
ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এ পর্যন্ত ৩৬ টি আসনে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। আমরা আওয়ামী লীগের কাছে ১৫টি আসনের জন্য বলেছি। বর্তমান সংসদে আমাদের ৭টি আসন রয়েছে, কিন্তু এবার আমরা তার দ্বিগুন আসন পেতে চাই।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সারা পৃথিবীতে জোটের সংস্কৃতি রয়েছে। বাংলাদেশেও রয়েছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে বলে আশা করি। এটিকে ছোট করে দেখা যায় না। দল থেকে চেষ্টা চলছে এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার। তবে মহাজোটে থাকার বিষয়টিও ছোট করে দেখার নেই।
জোটকে আসন দেয়ার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি আওয়ামী লীগ। তবে ৭০ থেকে ৮০ টি আসন জোটের জন্য বরাদ্দ থাকবে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, জোটকে কয়টি আসন দেওয়া হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ আমরা এখনও পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ করছি, প্রতিটি সিটে কার অবস্থান কেমন। ৭০-৮০টা সিট দেয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনবোধে সংলাপে বসব।
নির্বাচনের আগে জোটের আকার বাড়ার আভাস দিয়েছেন কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
আপনার মতামত লিখুন :