তানজিনা তানিন : দেশে প্রবৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আয় বৈষম্য। দেশের ৪৫ শতাংশ মানুষ নিম্ন শ্রেণির। দেশীয় সম্পদের বেশিরভাগ রয়েছে কিছু সংখ্যক মানুষের হাতে। আয় বৈষম্য সমস্যা পুরনো। এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগের অভাব আছে বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, সম্পদশালীদের অর্থ কতটুকু উৎপাদন খাত থেকে আসছে ও উৎপাদনে কাজে লাগছে তা হিসাব করে দেখছে না কেউ। প্রবৃদ্ধির সূচক উর্ধ্বমুখী দেখালেও এর ছোঁয়া পৌছাচ্ছে না নিতু তলার মানুষের কাছে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো সূচক তৈরি করা হয় একটি দেশের সার্বিক মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে। এর ফলে উচ্চবিত্তদের আয়ের ভার নিম্নবিত্তদের বইতে হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো – উচ্চবিত্তদের আয়ের এতো বৃদ্ধি কীভাবে হচ্ছে? বেশিরভাগ অর্থই দেখা যাচ্ছে দুর্নীতি, বড় বড় ঋণখেলাপি, একচেটিয়া ব্যবসা ও নানা অনৈতিক উপায়ে অর্জন করছে। এই অর্থ আবার পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। যা দেশীয় উৎপাদনে কাজে লাগছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস শ্রম বিক্রি। উৎপাদন কাজে নিয়োজিত শ্রমের মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারলে আয় বৈষম্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা উচিত বলেও তিনি মনে করেন।