রাশিদ রিয়াজ : চিকিৎসকরা যতই সব্জি ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন না কেনো, বিশ্বে সবার জন্যে এ দুটি খাদ্য পর্যাপ্ত পরিমানে নেই। বিশ্বে যে পরিমান সব্জি ও ফল উৎপাদন হয় তা মানুষের চাহিদা পূরণের জন্যে যথেষ্ট নয়। কানাডার গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক জরিপ পরিচালনার পর বলছেন, বিশ্বের বর্তমান কৃষি ব্যবস্থায় সবার জন্যে সব্জি ও ফল সরবরাহ করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ইভান ফ্রাসার বলেন, বর্তমানে বিশ্বে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত চিনি, শস্যকণা, চর্বি জাতীয় খাবার উৎপাদন হলেও সব্জি ও ফলের উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। এমনকি মাংস উৎপাদনও পর্যাপ্ত নয়। মেট্রো সিও
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শের খাদ্যতালিকায় সব্জি ও ফল ছাড়াও বাদাম, জলপাইয়ের তেল সহ বিভিন্ন খাবার রয়েছে। বলা হচ্ছে মানুষ প্রতিদিন যা খাচ্ছে তার অর্ধেক ফল ও সব্জি হতে হবে। এছাড়া এক চতুর্থাংশ শস্যকণা, প্রোটিন, চর্বি ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে। কিন্তু এ খাদ্য তালিকা মেনে চলতে বিশ্বে যে কৃষি ভূমি প্রয়োজন তা নেই। ২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৯.৮ বিলিয়নে দাঁড়াবে। বর্তমানে বিশ্বে মাথাপিছু ৮টির ক্ষেত্রে ১২ধরনের শস্যকণা উৎপাদিত হলেও ফলের ক্ষেত্রে ১৫টির স্থলে মাত্র ৫টি উৎপাদিত হচ্ছে। আর পুষ্টির দিকে লক্ষ্য রেখে কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। তা হয়েছে বাজারের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে।
গবেষকরা বলছেন, পর্যাপ্ত সব্জি ও ফলের যোগান দিতে আরো ৫ কোটি হেক্টর অতিরিক্ত কৃষি জমি প্রয়োজন। কারণ সব্জি ও ফল উৎপাদনে অপেক্ষাকৃত কম জমি প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু উৎপাদকরা অন্যান্য শস্য ও প্রোটিন উৎপাদনে আগ্রহী হয় অতিরিক্ত মুনাফার কারণে। একই সঙ্গে বাড়তি জনসংখ্যার কারণে জমির সাশ্রয়ে গ্রিনহাউজ হ্রাস ছাড়াও বৃক্ষভিত্তিক প্রোটিন উৎপাদনের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :