আলী রিয়াজ : বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা ঘটছে তাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ বিক্ষিপ্ত’ বলে ভাববার অবকাশ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। তবু যারা এখনও সেই চিন্তায় আছেন তাঁদের অনুরোধ করি ভালো করে চারিদিকে তাকান। শুক্রবার কেরানীগঞ্জে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় ‘কেবল অন্তর্বাস পরিহিত’ অস্ত্রধারীরা আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হামলাকারিরা আলাদা কিছু নয়। এগুলো হচ্ছে ‘আউটসোর্সিং অব ভায়োলেন্স’-এর উদাহরণ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় সেটার একাধিক মহড়া হয়েছে- হেলমেটধারীরা ছিলেন। এখন এটাই হচ্ছে মডেল। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল কেবল রাষ্ট্রের বাহিনীর ওপরে নির্ভর করছেনা। বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোয় যে পরিবর্তন ঘটেছে সেটাকে যদি পুরনো তত্ত্ব দিয়ে বুঝতে চান তবে সেটা বুঝতে পারবেন না।
আগে কবে কী হয়েছিলো সেই গল্পে মশগুল থাকলে আলোচনা করতে অনেক সুবিধা হবে, কিন্তু সমাধান পাবেন এমন আশা করার কারণ নেই। সমাধান হবেনা তার একটা কারণ হচ্ছে এমন সময়ে বাস করছেন যে সময়ে একজন ‘মানবাধিকার কর্মী’ সরকারের কাছে অনুরোধ করেন যেন একজন নাগরিকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট নিপীড়ক আইনের ব্যবহার করা হয়; সরকার তাতে সাড়া দিতে দেরি করেনি। একেই বলে ‘আউটসোর্সিং অব সেন্সরশিপ’। একজন ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞানী’ দেশকে শিক্ষা দিচ্ছেন যে কর্তৃত্ববাদী শাসনের দায় বিরোধীদের। এই রকম উদাহরনের তো শেষ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে আপনি বুঝতে চাইছেন কিনা।
আপনার মতামত লিখুন :