সাইদ রিপন: চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম চার মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৪৮টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে ৯৬ হাজার ২১ কোটি ৪ লাখ টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল দিবে ১৬ হাজার ১৭১ কোটি ৫০ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ২৪ হাজার ৩৫০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার দায়ত্বি গ্রহণ করার পর এ পর্যন্ত ১৪০টি একনকে সভায় সর্বমোট ১১৭২টি প্রকল্প অনুমোদতি হয়েছে। প্রকল্পগুলোর সর্বমোট প্রাক্কলতি ব্যয় ১৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৮ লক্ষ ৮ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম আমাদের অর্থনীতিকে বলেছেন, সরকারের শেষ সময় এসে তাড়াহুড়া করে এতো প্রকল্প অনুমোদন দেয়া ঠিক না। কারন বর্তমানে অনুমোদিত বেশিরভাগ প্রকল্পই এমপিদের খুশি করার জন্য। বিচার-বিবেচনা না করে প্রকল্প অনুমোদন দিলে ভবিষ্যতে আবারও এগুলো সংশোধন করে ব্যয় ও সময় বাড়াতে হবে। আর প্রকল্প সংশোধন দেশের অর্থনীতির জন্য মোটেও সুখকর নয়।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সক্ষমতার কিছুটা অভাব থাকলেও এখন যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি একটি টেকসই গতিশীলতার মধ্যে এসে পৌঁছেছে। সেই গতিশীলতা ধরে রাখতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সব জনগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও আয় বৈষম্য কমিয়ে আনার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই প্রকল্প গ্রহণের অন্যতম লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের চোখে যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়।
এজন্য ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মেয়াদে অর্জিত অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে এমডিজি পরবর্তী জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো (এসডিজি) অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার নীতি-কৌশল ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :