শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ দুপুর
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নির্বাচন চান কি না, সংশয় প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশ জার্নাল : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা দেশে আদৌও নির্বাচন নির্বাচন চান কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সংশয় প্রকাশ করেন। সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সংসদীয় দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তারা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশটা সুন্দরভাবে চলছে। দেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে। এটা তাদের ভালো লাগছে না, তারা চায় একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। তারা চায় দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে। সদ্যগঠিত এই জোটের নেতারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চান কী না?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আদৌও নির্বাচন চান কি চায় না? সেটাই বড় কথা।’ আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের জয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ‘নিরপেক্ষ সরকারের’ অধীনে নির্বাচনের দাবির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যেহেতু একটা রায় হয়েছে উচ্চ আদালতে যেকোনো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেই রায় থাকা সত্ত্বেও আমাদের আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবি থেকে শুরু করে যারা বড় বড় আইনজীবী তারা কীভাবে দাবি করে যে, এখানে আরেকটা সরকার গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে। এই দাবিটা কেন? কীভাবে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেই রায়ের পর আমাদের সংবিধান সংশোধন করেছি। ১৯৭২ এর সংবিধানে ঠিক যে রকম ছিল, যেভাবে নির্বাচনের জন্য যা যা লেখা ছিল আমরা সেইভাবেই নিয়ে এসেছি।’

ড. কামালের নাম উল্লেখ না করে তার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাহলে একদিকে দাবি করবে সংবিধান রচয়িতা, অপরদিকে আবার সেই সংবিধানকে লঙ্ঘন করার জন্য নির্বাচনের অন্য ফর্মূলা দিবে। অনির্বাচিত একটা সরকার গঠন করতে বলবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে বলবে। এই আব্দারটা কেন? কার স্বার্থে? কিসের স্বার্থে? সেটাই আমরা বুঝতে চাই। কী কারণে তারা এটা চাচ্ছে। তাদের যদি এত শক্তি থাকে জনগণের সঙ্গে আসবে, ভোট হবে।’

ইভিএম নিয়ে সরকারবিরোধীদের আপত্তিরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইভিএম দিতে চাই, দ্রুত মানুষ ভোট দিতে পারে। তাতেও আবার আপত্তি কিসের? সেটাও আমরা বুঝতে পারি না। ইভিএম আজকে ইন্টারন্যাশনালি ব্যবহার করে। এতে কেউ কারো ভোট চুরি করতে পারবে না। তাহলে সেখানে কি করে তারা আপত্তি জানায় আরও। তারা নির্বাচন চায় কি চায় না সেটাই বড় কথা।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলে থাকতে কথা বলা তো দূরের কথা একটা মিটিংও করতে দেয়নি। আমরা কিন্তু সকলের জন্য সভা-সমাবেশ উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কাউকে বাধা দেইনি। এখন একটা ঐক্যজোট হয়েছে। তারা মুখে বড় বড় কথা বলে আর দুর্নীতিবাজ সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া এবং সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান তাদের সঙ্গে জোট করেছে। সেই দলসহ বিএনপি জামায়াত জোটসহ ঐক্য হয়েছে। তারা বলল, আমরা নাকি তাদের মিটিং করতে দিচ্ছি না। সিলেটে তারা মিটিং করল। আগেই তারা বলে, আমাদের দিচ্ছে না। আমার যেটা মনে হয়, যে তারা চায় আমরা তাদেরকে বাধা দেই। ’

আগামী নির্বাচনেও জয়ের আশাবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জয় আমাদের হবেই। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণের শক্তি নিয়েই আমরা ক্ষমতায় এসেছি। জনগণের ভোটেই আমরা ক্ষমতায় এসেছি। আমার জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস আছে। যে উন্নয়নের ছোঁয়া আজকে সকলের জীবনে লেগেছে, নিশ্চয় তারা সেটা ধরে রাখবে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেবে। আওয়ামী লীগের জয় হবে।’

তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীও আমরা উদযাপন করতে পারব। আমরা না থাকলে আর কেউ ভালোভাবে করতে পারবে না। কারণ তাদের মনে পাকিস্তান। এখনো অনেকে বলে পাকিস্তান নাকি আমাদের চেয়ে বেশি উন্নত। যারা এটা বলে তাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া উচিত। বলা উচিত পাকিস্তানে যেয়ে দেখে আসেন। পাকিস্তানের ঋণ শোধের জন্য সৌদি আরব তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। আমাদের কারো কাছে কোনো ঋণ নেই।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ আমরা করে রেখেছি, যাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকে। আর সেই গতি অব্যাহত থাকবে যদি আওয়ামী লীগ আবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে। তাহলে মানুষ সুন্দর জীবন পাবে। প্রত্যেকটা গ্রাম শহরে রূপান্তর হবে। নাগরিক সকল সুবিধা গ্রামে বসেই পাবে।’

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবেই প্রমাণিত বিএনপি একটি দুর্নীতিবাজ দল। দেশটাকে তারা লুটে খেয়েছিল।’

দেশের অনেকেই উন্নয়ন চোখে দেখে না বলেও মন্তব্য করেন টানা দুই মেয়াদের সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন তারা চোখে দেখে না, দেখবে না। চোখ থাকতে তারা অন্ধ।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়