তসলিমা নাসরিন : তসলিমা নাসরিন-জর্জ বেকারের গোপন সম্পর্ক ফাঁস, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা২৪ এই শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশের পর ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন- এতদিন kolkata24x7.com কে ভালো একটা নিউজ পোর্টাল বলে জানতাম। এখন তো দেখছি পুরাই ভুয়া নিউজ পরিবেশন করতাছে। জর্জ বেকার কে তাই তো জানিনা, তার সাথে ছিল নাকি অবৈধ সম্পর্ক আমার, কোথাকার কোন ছেড়ি নাকি দাবি করছে সে আমার ছেড়ি। কই যাই! পাইছো বটে আমারে। অবৈধ সম্পর্ক, সেক্স, এইসবের গন্ধ পাইলেই মাইনষের আমার কথা মনে পড়ে। এখন তো এক কাঠি আগাইয়া ছেড়ি মেড়ি দেখলেই তাদেরে আমার ছেড়ি বইলা মনে করতাছে জনগণ।
আমার সম্পর্কে জানতে হইলে আমার আত্মজীবনী পইড়া লইয়েন। আমার কলমই ফাঁস করছে আমার বেবাক গোপন খবর।
এর আগে কলকাতা২৪ এর নিউজে বলা হয়েছে- জর্জ বেকার ও তসলিমা নাসরিনের সম্পর্কে নড়চড়ে বসেছে ভারতের ক্ষমতাশীর দল বিজেপি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা ২৪ এর তথ্য মতে, জর্জ বেকারের সঙ্গেই নাকি সম্পর্ক ছিল তসলিমা নাসরিনের! এনাদের সন্তানই হচ্ছেন ভারতের বর্ধমানের ভাতারের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। তার ছোটবেলা কেটেছে বেহালায়। অঙ্কিতাকে পালন করেছেন গৌরী ভট্টাচার্য নামের এক মহিলা যিনি আবার সম্পর্কে জর্জ বেকারের স্ত্রী অর্পিতা’র বোন।
গৌরীদেবী’র মৃত্যু হয়েছে। তবে তার এই পালিত কন্যা বেকার-তসলিমা’র সম্পর্কের কথা আগেই জানতেন বলে জানা যায়। স্মৃতিচারণে’র সুবিধার্থে দিয়েছেন কয়েকটি ছবি।
অঙ্কিতার দাবি, জন্মের পরে বেশ কয়েক বছর জন্মদাতা বাবা-মা জর্জ বেকার এবং তসলিমা নাসরিনের সঙ্গেই কাটিয়েছিলেন অঙ্কিতা। অভিযোগ, বাবার ও মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি জর্জের বর্তমান স্ত্রী অপ্রিতা বেকার৷ তার চাপেই অঙ্কিতাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন জর্জ৷ বন্ধ সব যোগাযোগ৷ প্রাণ নাশের হুমকি সত্ত্বেও নিজের প্রাপ্র আদায়ের লক্ষ্যেই গোটা বিষয়টি অঙ্কিতা প্রকাশ্যে এনেছেন বলে জানিয়েছেন৷
গোটা ঘটনার উপর নজর রেখেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ অঙ্কিতা ভট্টাচার্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দলের এরাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা রিপোর্ট তৈরি করবেন৷ সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে৷
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে হাওড়া থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েছিলেন জর্জ বেকার৷ পরবর্তীকালে লোকসভায় মনোনিত সাংসদ করা হয় তাকে৷ বর্তমানে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তার৷ দলের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে চায় বিজেপি৷
আপনার মতামত লিখুন :