সাজিয়া আক্তার : জোট ভাঙা-গড়ার খেলা রাজনীতিতে নতুন সংযোজন, ফোনালাপ ফাঁস। যা পুরোটাই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে নামা ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের। তবে এসব ফোনালাপ পাশে রেখেই মাঠের রাজনীতিতে ঐক্যফ্রন্ট। যার মূল রসদ বিএনপি। আর টার্গেট, আওয়ামী লীগ বিরোধী সব পক্ষকে এক করা। সূত্র : এটিএন নিউজ
বিএনপির এমন বাঘা বাঘা নেতারা এক মঞ্চে বসা, তার মধ্যমনি গণফোরামের ড. কামাল হোসেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন ছবি খুব বিরল। এখন পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের নামে নতুন জোটের সবচেয়ে ব্যতিক্রমি চমক এটি।
তবে দুদিন আগেই ফাঁস হওয়া ব্যারিস্টার মইনুলের কথোপকথন বলছে ভিন্ন কথা। ড. কামালের প্রতি ব্যারিস্টার মইনুলের এমন আস্থা সরে যেতে সময় লাগেনি ৩ মিনিটও।
বিএনপির এমন চেপে যাওয়া কী শুধুই দলের শীর্ষ দুই নেতার মুক্তি নিয়ে চাপে থাকা? নাকি ড. কামালেই আস্থা রাখতে চায় বিএনপি। তাহলে আওয়ামী লীগের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীই কী এখন বিএনপির ত্রাতা?
আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, আপনারা যদি মনে করেন ড. কামাল হোসেন বিএনপির লিড নিয়েছে, তাহলে এটা পুরোপুরি ভুল ধারনা। বিএনপি সামনে একজনকে দাঁড় করিয়েছে। উনার ঘোষণাকৃত অবস্থা ছিল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা চ্যুত করার কোনো প্রক্রিয়ার সাথে উনি থাকবে না। উনি সর্মথন দিয়ে বুঝাচ্ছেন না আমি যাচ্ছি, কিন্তু উনি বলছেন ঠিকেই। তার জন্যই আমি মনে করি উনার বাজার মূল্য যাচাই করা দরকার। এটা অন্যায় কিছু না।
এদিকে তারেক জিয়াকে সরানোর বিষয়ে নিরব থাকলেও, মইনুল ইস্যুতে অবশ্য নিজের সমর্থন ঠিকেই জানিয়েছেন, গণফোরাম নেতা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাবেক আরেক নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সমর্থন জানিয়েছেন ড. কামালের প্রতি।
এদিকে রাজনীতিতে দলের অবস্থান মাঠে আরো মজবুত করতে ১/১১ সংস্কার পন্ধিদেরকে আবারও দলে ভেড়ানোর পরিকল্পনা বিএনপির।
তাইতো বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের বিপরীতে সব এনটি আওয়ামী লীগের মত ও সেন্টিমেন্টকে এক করছে বিএনপি।
আপনার মতামত লিখুন :