অনলাইন ডেস্ক : চেকপোস্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাছেই সবচেয়ে অনিরাপদ রাজধানীবাসী। গুলশান, বনানীসহ অভিজাত এলাকার চেকপোস্টে সবচেয়ে বেশি অপ্রীতিকর অবস্থার শিকার হন নগরবাসী।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের দাবি, প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বরতদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ না থাকায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে পুলিশ।
আর ডিএমপি বলছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে তবে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেন তাঁরা।
গুলশান, বনানীর মতো অভিজাত এলাকা, ব্যস্ততম সড়ক বা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে চেকপোস্ট এক আতঙ্কের নাম। নিরাপত্তা তল্লাশির নামে পুলিশের বাদানুবাদ, অশালীন মন্তব্য এমনকি শারীরিকভাবে হয়রানির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিকার পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
ভুক্তভোগী একজন বলেন, ‘মানিব্যাগ চেক করার পর সেখানে টাকা ছিল। একজন কনস্টেবল আমাকে বললো, ৫০০ টাকা দিয়ে যান।’
আরেকজন বলেন, ‘পরিচয় বলার পরও এমনভাবে চেক করে যেন চোরদেরও এমনভাবে করে না।’
শেষ ভরসা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। প্রতিকারের আশায় সেখানে উঠে আসে সাধারণের প্রতিবাদ।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অতীতে পুলিশি হয়রানির একাধিক ঘটনার বিচার না হওয়ার কারণেই এ ধরনের আচরণ উৎসাহিত হয়েছে আর ডিএমপির দাবি অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে প্রশাসন।
আইন ও শালিস কেন্দ্র শীপা হাফিজা বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম রাস্তায় নামতেই ভয় পাছে, কখন যেন কি নাম দিয়ে পুলিশ ওদের হ্যারাস করে। মানুষকে প্রতিনিয়ত হ্যারাস করে, কাপড় ও শরীরে হাত দেয়া এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে পুলিশ।’
ডিএমপি উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘কারো কোনো যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।’
তবে গত সোমবার মধ্যরাতে তল্লাশির নামে অটোরিকশায় থাকা এক নারী আরোহীকে হেনস্থা করার ঘটনায় পরদিনই সাময়িক বরখাস্ত হন অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ, যা ইতিবাচক বলছেন সাধারণ মানুষ। সূত্র : সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :