কান্তা আইচ রায়: ইভিএম এর ব্যবহার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে কিছু ভোট কেন্দ্রে এর পরীক্ষামূলক ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। এ বিষয়ে জনসচেতনা বাড়াতে আগামীকাল দেশের ৮ টি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে ইভিএম প্রদর্শনী। যদিও আইটি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, এই পদ্ধতিতে নিরাপত্তা ও ভোট পুর্নগণনার ক্ষেত্রে সংকট রয়েছে। তবে, নির্বাচন কমিশনের ইভিএম প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হবে তা অন্য অনেক দেশের তুলনায় নিরাপদ। হ্যাকিং বা ভোট কারচুপির কোন শঙ্কাও নেই।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও’র প্রস্তাবিত সংশোধনীতে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন। এই সংশোধনী এখনো সংসদে পাস না হলেও নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। তবে এই পদ্ধতিকে অনিরাপদ উল্লেখ করে এর ব্যবহারে আপত্তি জানিয়ে আসছে বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ইভিএম প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি বাংলাদেশে যে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক নিরাপদ।
ইভিএম প্রকল্প নির্বাচন কমিশনের সদস্য ড. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ব্যবহার করা হবে তা অন্য অনেক দেশের তুলনায় নিরাপদ। হ্যাকিং বা ভোট কারচুপির কোন শঙ্কাও নেই।
এদিকে আইটি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোটের তথ্য সংরক্ষণ ঝুঁকিপূর্ন। তাই ইভিএম পদ্ধতিকে গ্রহণযোগ্য করতে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থায় ইভিএম-এ ভোট পুর্নগণনার সুযোগ রাখার তাগিদ দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে ইসির ইভিএম প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পদ্ধতির নিরাপত্তা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। ইন্টারনেট বা অন্য কোন এক্সটারনাল সোর্স সংযুক্ত না থাকায় এক্ষেত্রে হ্যাকিং বা ভোট কারচুপি সম্ভব নয়। আর ইভিএমের ব্যালট বা কন্ট্রোল ইউনিট ছিনতাই কিংবা কেন্দ্র দখলের মতো ঘটনা ঘটলেও অবৈধভাবে কেউই ভোট দিতে পারবেনা।
এছাড়াও ইভিএম ব্যবহারে নিরাপত্তা বাড়াতে, যেসব স্থানে ভোট গ্রহণ করা হবে সেখানে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সূত্র : বৈশাখী টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :