ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত কমিয়ে দেয়ায় হকারদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তবে তাদের শান্ত করতে এবার নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তারা এসব হকারদের নতুন করে দোকান বরাদ্দের প্রলোভনে নির্বাচনী প্রচারনায় কাজে লাগাচ্ছেন। এখনো দোকান বরাদ্দ না হলেও শিগগিরই দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ফার্মগেট এলাকায় গত তিন বছর ফুটপাতের দোকান সীমিত করে দেয়া হয়েছে। এতে চরম অসন্তোষ দেখা যায় হকারদের মধ্যে। অনেক হকার বাধ্য হয়ে অন্য পেশা বেছে নেন। এছাড়া তাদের একটি বড় অংশ গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় এসব হকারদের প্রয়োজন। এ কারণে তাদের বলা হচ্ছে আবার দোকান বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। আর এ প্রলোভনে পড়ে অনেক পুরনো হকাররা ঢাকায় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
ফার্মগেট ফুটপাতে দীর্ঘদিন দোকান বসিয়ে আসছেন এমন কয়েকজন জানান, ফার্মভিউ সুপার মার্কেটের সামনে তারা দোকান বসিয়ে ব্যবসা করতেন। তিন বছর আগে তাদের তুলে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় নেতারা তাদের বিভিন্ন সময় দোকান বসানোর আশ্বাস দিলে কোন সুরাহা হয়নি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজধানীতে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচারণায় সরব হয়ে উঠছেন। এতে হকারদের কাজে লাগাতে আবারও দোকান বসানোর আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তবে এখনো নতুন কোন বসানো হয়নি। শিগগিরই তাদের ফুটপাতে দোকান বসানোর অনুমতি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ কারণে অন্য পেশা ও গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়া হকাররা আবারও রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। এদিকে মালিবাগ এলাকায় ইতিমধ্যে ফুটপাতের দোকান আগের চেয়ে ফুটপাতের দোকান বেড়ে গেছে। একইভাবে বেড়েছে মহাখালী ও মিরপুর এলাকায়। তবে মতিঝিল, গুলিস্তান ও পল্টন এলাকার ফুটপাতে নতুন কোন বসাতে দেখা যায়নি।
ফুটপাতের দোকান প্রসঙ্গে পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ফুটপাত বা রাস্তার জায়গা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে অনেক সময় জটলা দোকান তুলে দেয়া হয়। বর্তমানে ফার্মগেট এলাকায় কোন অবৈধ ফুটপাতের দোকান বসতে দেয়া হয়না। তাদের আগের মত দোকান বসানোর অনুমতি কোন রাজনীতিবীদ দিতে পারেননা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে হকারদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে পুলিশ সহায়তা করবে। সম্পাদনা : হুমায়ুন কবির খোকন
আপনার মতামত লিখুন :