সান্দ্রা নন্দিনী : তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহতের পর প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। বুধবার সৌদি আরবে চলমান বিনিয়োগ সম্মেলনে তিনি বলেন, খাসোগজির মৃত্যু দুঃখজনক এবং অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।
খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের পর জনসমক্ষে কোনও কথা বলেননি সৌদি যুবরাজ। এই প্রথম মুখ খুলে খাসোগজির হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত ঘৃণিত অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। সৌদি আরব ও তুরস্ক একসাথে কাজ করবে।’ তিনি বলেন, ‘খাশোগির মৃত্যুর ঘটনায় তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনতি হবে না। আমরা রহস্য উদঘাটনে তুরস্ককে সব ধরনের সহায়তা করবো।’
প্রসঙ্গত, ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগজি। তুরস্ক দাবি করে, কনস্যুলেটের ভেতরেই তাকে হত্যার পর কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। শেষপর্যন্ত গত ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সাংবাদিক জামাল খাশোগজি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও হত্যাকা-ের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে দেয় দেশটি।
তবে, খাসোগজি হত্যাকা-ে সৌদি আরবের এসব ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারছে না আন্তর্জাতিক বিশ্ব। এমনকী, অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শুরুতে নমনীয় থাকলেও এরইমধ্যে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এ হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসের জঘন্যতম ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনা বলে আখ্যা দেন তিনি। একইদিনে সৌদি যুবরাজের সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন ট্রাম্প। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :