স্পোর্টস ডেস্ক: ফর্মে রয়েছে ইন্টার মিলান, এর ওপর আবার চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন মেসি, চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটি তাই বার্সেলোনার জন্য চ্যালেঞ্জই ছিল। ঘরের মাঠে সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই উতরে গেছে কাতালানরা রাফিনিয়া ও জোর্দি আলবার লক্ষ্যভেদে।
আক্রমণাত্মক বার্সেলোনা শুরু থেকেই চাপ তৈরি করেছে ইন্টারের রক্ষণের। যদিও মেসি না থাকায় বলের জোগান ঠিক মতো হচ্ছিল না বক্সে। বেশ কয়েকবার ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। সুয়ারেস যেমন ফাঁকায় জোরালো শট করেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। রাফিনিয়াও নষ্ট করেছেন সহজ সুযোগ। যদিও ৩২ মিনিটে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল হয়নি মেসির চোটে একাদশে জায়গা পাওয়া রাফিনিয়ার। সুয়ারেসের ক্রস ছোট বক্সের সামনে থেকে বাঁ পায়ে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ প্রয়োগ করেছে ইন্টারের রক্ষণে। অন্যদিকে গোল শোধে মরিয়া সফরকারীরাও ছিল আক্রমণাত্মক। কিন্তু মাউরো ইকার্দিরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি বার্সেলোনার রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের দৃঢ়তায়। উল্টো ৮৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় ইন্টার। জোর্দি আলবার গোলে বার্সোলোনা ব্যবধান দ্বিগুণ করে। শেষমেষ ২-০ গোলের জয়ে পুরো ৩ পয়েন্ট নিয়ে বার্সোলোনা ছাড়ে মাঠ।
আনহেল দি মারিয়ার গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে পিএসজিকিন্তু ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে জিততে পারেনি পিএসজি। যদিও নাপোলির সঙ্গে ২-২ গোলের ড্র জয়ের চেয়ে কম নয় তাদের জন্য! কেননা ইতালিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে তো হারতেই বসেছিল তারা, দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে আনহেল দি মারিয়ার গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে পেরেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
২৯ মিনিটে লরেঞ্জো ইনসিগনির লক্ষ্যভেদে লিড নেয় সফরকারী নাপোলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ৬১ মিনিটে তারাই সমতায় ফেরায় পিএসজিকে। মারিও রুইয়ের আত্মাঘাতী গোলে ম্যাচ ফেরে ১-১ সমতায়। অবশ্য ৭৭ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় কার্লো আনচেলত্তির দল। ড্রায়েস মার্টিনসের লক্ষ্যভেদে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল নাপোলি। কিন্তু ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে দি মারিয়া জয়ের সমান ড্র এনে দেন পিএসজিকে।
অ্যানফিল্ডে মোহাম্মদ সালাহর জোড়া লক্ষ্যভেদে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল। ২০ মিনিটে রবের্তো ফিরমিনোর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৪৫ মিনিটে প্রথম গোলের পর ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করেন সালাহ। এরপর ৮০ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন সাদিও মানে।
ঘরের মাঠ সিগনাল ইডুনা পার্কে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে। রাফায়েল গুরেইরোর জোড়া গোলের সঙ্গে একবার করে লক্ষ্যভেদ করেছেন আক্সেল উইটসেল ও ইয়াদোন সানকো। আর পিএসভি আইন্দহোফেনের মাঠ থেকে ২-২ গোলে ড্র করে ফিরেছে টটেনহাম।
আপনার মতামত লিখুন :