দৈনিক আমাদের সময় : বিপদ দেখলেই রঙ ছড়িয়ে দিতে পারে স্কুইড কিংবা অক্টোপাস। এভাবে আলোর বিভ্রম সৃষ্টি করে শিকারিকে বোকা বানায় তারা। কিন্তু সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা এদের নেই। তবে এ দুটি সামুদ্রিক প্রাণীরই অন্য জাত আছে যারা সম্পূর্ণভাবে অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন। এরা হলো গ্লাস
স্কুইড ও গ্লাস অক্টোপাস। তাদের এ ক্ষমতাটা একেবারেই জাদুর মতো।
এই শক্তি তারা ব্যবহার করে শিকারির হাত থেকে বাঁচতে। সাধারণত এরা বালি বা পাথরের সঙ্গে মিশে গিয়ে কিংবা লুকিয়ে পড়তে পারে প্রবালের আড়ালে। এ সময় এটি প্রায়শই কালো হয়ে যায়। তাই অদৃশ্য হওয়ার প্রয়োজন হয় না। সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি চলে এলে প্রাণীগুলো বিশেষ প্রক্রিয়ায় আলোর ঝলকানি প্রদর্শন করে। ফলে শিকারিরা আদৌ তাদের দেখতে পারে না। এই উপায়ে নিজেকে অদৃশ্য করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণীর একটি গ্লাস অক্টোপাস। এ জাতের অক্টোপাসরা তাদের জেলির মতো নরম-আঠাল শরীরকে প্রয়োজনে ৪৫ সেন্টিমিটার (১৮ ইঞ্চি) পর্যন্ত প্রসারিত করে। বিপদ দেখলে এটি পরিপাকতন্ত্র এবং চোখ ও এর অপটিক স্নায়ু ছাড়া সম্পূর্ণ শরীরটিকে শত্রুদের কাছে প্রায় অদৃশ্য করে ফেলে।
গ্লাস স্কুইডেরও এ ধরনের শক্তি আছে। গ্লাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৬০ প্রজাতির স্কুইড রয়েছে। গ্লাস স্কুইডের শরীর পুরোপুরি স্বচ্ছ। তবে এদের বড় চোখগুলো অস্পষ্ট। গ্লাস স্কুইডরা নিজেদের লুকানোর জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে। একটি বিশেষ কৌশলে এরা চোখের নিচে আলো তৈরি করতে পারে। সেই আলো সূর্যালোক থেকে নিচে ফিল্টারিং হয়ে আসা আলোর অনুরূপ দেখায়। তাই এটি সম্পূর্ণরূপে নিচে সাঁতার কাটা শিকারিদের কাছে তখন অদৃশ্য করে তোলে।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, স্কুইড বিশেষ প্রক্রিয়ায় যে আলো সৃষ্টি করে তা বিস্ময়করভাবে চারদিকের অন্য আলোর সঙ্গে মিশে যায়। তখন এমন একটি বিভ্রম তৈরি করে যা দেখে মনে হয় আলোটি চারদিক থেকে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :