শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:৫৮ দুপুর
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএনপির ঘাঁটিতে নৌকার পালে হাওয়া

বিডি-প্রতিদিন : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়ায় এবার নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলায় ধানের শীষের পাশাপাশি নৌকাও দুলে উঠবে মনে করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়াকে বলা হয়ে থাকে বিএনপির ঘাঁটি। আর বগুড়া-৬ অর্থাৎ সদর আসনটি বিএপির মূল ঘাঁটি মনে করেন দলের নেতা-কর্মীরা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ আসন থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভোট পেয়ে বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছেন। আওয়ামী লীগ চাইছে এবারের নির্বাচনে বগুড়া সদর আসনটি দখল করতে।

অবশ্য ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করায় জেলার সব আসনের মতো এ আসনটিও হাতছাড়া হয় বিএনপির। এ আসনের বর্তমান এমপি জাপার নূরুল ইসলাম ওমর। তিনি আবারও প্রার্থী হবেন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের চোখও এ আসনের দিকে। দশম সংসদ নির্বাচনে সমঝোতার কারণে আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ সদর আসনটি জাতীয় পার্টি বা কোনো শরিককে ছেড়ে দিতে নারাজ। একইভাবে বিএনপি তাদের হারানো আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া।

বগুড়া সদর আসনের জয়-পরাজয়ই বলে দেয় জেলার অন্য ৬ আসনের রাজনৈতিক শক্তির কথা। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিএনপি সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাসদ ও বাকি ৪টি আসনে জাপার প্রার্থীরা এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৫টিতে বিএনপি ও দুটি আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছিল। গতবার সদর আসনে এমপি নির্বাচিত হন বগুড়া জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ওমর। এর আগে সদর আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে আসছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, জাসদ ও জাপার সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন, ভোটারের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন ভোটারের কাছে গিয়ে দলীয়ভাবে দোয়া কামনা করছেন। উন্নয়নের বিভিন্ন ফিরিস্তি দিচ্ছেন। আবারও নির্বাচিত হলে আগামীতে কী কী উন্নয়ন করবেন সেসব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের। জেলা শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, পথের মোড়ে, রাজনৈতিক পাড়ায় আলোচনা চলছে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে। জাপার একক প্রার্থী, বগুড়া সদর আসনের বর্তমান এমপি নূরুল ইসলাম ওমর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সেমিনার করে নিজ দল ও নিজের জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হলেও নূরুল ইসলাম ওমর এ আসনে জোটের প্রার্থী হবেন বলে জাপার নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন। জাসদ কেন্দ্রীয় নেতারা বগুড়ায় এসে জনসভা করে সদরে তাদের প্রার্থী হিসেবে এমদাদুল হক এমদাদের নাম ঘোষণা দিয়ে গেছেন।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে নৌকার পক্ষে জনমত গড়ে চলেছেন। আর ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বগুড়ায় গত ১০ বছরে উন্নয়ন বৈষম্যের কথা বলে জনগণের দরজায় কড়া নাড়ছেন। তারা দলের প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি নিজের নির্বাচন করার ইচ্ছাটাও জানিয়ে দিচ্ছেন। এবার সদর আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন— বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ মমতাজ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ও মঞ্জুরুল আলম মোহন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম রাজ। এ ছাড়া জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলুর সমর্থকরা তাদের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ওমর এমপি এবারও নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। জাসদের প্রার্থী হবেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের সাবেক ভিপি ও শ্রমিক জোটের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক এমদাদ। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু জানান, বগুড়ায় নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন। বগুড়ায় এবার নৌকা দুলে উঠবে। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন জানান, আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ পালন করছি। উন্নয়নের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য গণসংযোগ করছি। এদিকে বেগম খালেদা জিয়া কোনো কারণে প্রার্থী না হলে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম সদর আসনে প্রার্থী হতে পারেন। এ ছাড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবর রহমানও ধানের শীষের প্রার্থী হতে মাঠে রয়েছেন। সাইফুল ইসলাম জানান, বগুড়া বিএনপির দুর্গ। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে বগুড়া সদরে বিএনপি নিরঙ্কুশভাবে জয়ী হবে। বগুড়ায় ধানের শীষ জয়ের আনন্দে দুলে উঠবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়