শিরোনাম
◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে মঈনুল উপেক্ষিত!

বাংলাদেশ জার্নাল : সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়া আর কেউই ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের মুক্তি দাবি করেননি। বরং উপেক্ষিতই থাকলেন পুরো সমাবেশ জুড়ে।

নানা নাটকীয়তা ও উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত সফলভাবে শেষ হয়েছে সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ। সমাবেশের প্রতিটি বক্তার বক্তব্যে এসেছে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। এসেছে সরকারের পদত্যাগের দাবি। এছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও উচ্চারিত হয়েছে বার বার। কিন্তু সারা সমাবেশ জুড়ে উপেক্ষিত থেকেছেণ ব্যারিস্টার মঈনুলের মুক্তি দাবির বিষয়।

সভার শেষ বক্তা হিসেবে একমাত্র আরিফুল হক চৌধুরীই দাবি করেছেন ‘ব্যারিস্টার মঈনুলকে মুক্তি দিতে হবে’। কিন্তু ততক্ষণে সমাবেশের উপস্থিতি বাড়ি ফেরার পথে।

সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠের সমাবেশে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। নিয়ম অনুযায়ী সমাবেশের সর্বশেষ বক্তাও তিনি। তাই শেষ সময়ে বক্তব্য দীর্ঘ না করে ব্যারিস্টার মঈনুলসহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে সমাবেশ শেষ করেন তিনি।

সম্প্রতি একটি টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে গালি দেয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি মামলা হয় ব্যারিষ্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন বৈঠকে মঈনুলের উপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে প্রশ্ন করলে মাসুদা ভাট্টিকে গালি দেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

গত ১৬ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা, ভোলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর ও কুড়িগ্রামে একটি করে এবং কুমিল্লায় দুটি মামলা করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ঢাকা, জামালপুর ও কুড়িগ্রামের মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মঈনুল।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে মঈনুল। তার ভাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বর্তমান সরকারে পানিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। তবে তাদের দুই ভাইয়ের বৈরী সম্পর্কের বিষয়টি আলোচিত। মঈনুল ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও প্রকাশক।

একাত্তরে মঈনুল পাকিস্তানি বাহিনীর ‘দালালি’ করেছেন বলে সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে জানান শেখ হাসিনা। একাত্তরে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের হত্যাকাণ্ডের জন্যও মঈনুলকে দায়ী করেন শেখ হাসিনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়