মো. ইউসুফ আলী বাচ্চু : রাজধানীতে যানজট কমানোর লক্ষ্যে দীর্ঘ ছয় বছরে প্রায় সাড়ে ১২শত কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছে মগবাজার ফ্লাইওভার। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে ফ্লাইওভারটি চালু হওয়ার পরেও নিচের অংশে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত এলাকার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালকে পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়।সমস্যা সমাধানে রাস্তায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং এবং অস্থায়ী দোকান গুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ইউএসএআইডি, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এবং ইউকেএআইডি’র সহযোগিতায় মগবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এসব দাবি জানান। তাদের মধ্যে অন্যতম শাহজাদী কোহিনুর পাপড়ি সাবরিনা বিন্তে আহ্মেদ এবং আয়েশা খাতুন পপি। ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ইস্পাহানি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, আবু জর গিফারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, এ জি চার্চ মিশনারি স্কুল, কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, ডক্টর সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, এসপিআরসি এবং হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল।
সংবাদ সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত এলাকার (১৯ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল বলেন, যানজট এবং নোংরা পরিবেশ থেকে বাঁচতে সবার আগে জনসচেতনতা প্রয়োজন। এছাড়াও আমার কাছে মনে হয় ফ্লাইওভারের ডিজাইনেও সমস্যা ছিল। আশাকরি মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ফ্লাইওভার নির্মাণ খুবই কার্যকরী উদ্যোগ। কারণ ঢাকা শহরের যানজটের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সে কারণে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেটা যদি আমাদের স্বাভাবিক জীবন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে তা খুবই দু:খজনক। এ কারণে আমাদের সকলেরই সচেতন থাকা দরকার। তিনি আরও বলেন, আইন ও তার যথাযথ ব্যবহার এবং নাগরিক দায়িত্ববোধ যতদিন তৈরি না হবে ততদিন কোন দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। যা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এই অভ্যাস গড়ে উঠতে সময় লাগবে। তবে আশা করি আমাদের দেশে একদিন উন্নত দেশগুলোর কাতারে এসে দাঁড়াবে।
আপনার মতামত লিখুন :