মাসুদ মিয়া: দেশের শেয়ারবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আজ সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে পাশাপাশি সূচক চাঙ্গা হলেও লেনদেনর ভাটা পড়েছে।

বুধবার ডিএসইতে ৫ মাস ৯ দিনের মধ্যে সর্বনিন্ম লেনদেন হয়েছে। এর আগে ১৫ মে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৫ কোটি টাকা। এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আইসিবিরি বিনিয়েগের খবরে শেয়ারবাজার চাঙ্গা হচ্ছে। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা ফেরাতে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) আগামী সপ্তাহ থেকে বিনিয়োগে থাকবে। আইসিবির এমডি কাজী সানাউল হক বলেন, গত কয়েকদিনের বাজারে পতন নিয়ে বৈঠক হয়। এতে পতনের কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই পতনে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা বাজার নিয়ে আশাবাদী। সামনে শেয়ারবাজার ভালো হবে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের স্বার্থে বন্ডে ইস্যুকৃত ২ হাজার কোটি টাকার পুরোটাই এই বাজারে বিনিয়োগ করার কথা চিন্তা করছি। যদিও দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসইতে ৩৬৮ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৩৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৪১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৫টির, কমেছে ১৪৫টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টি কোম্পানির শেয়ার দর। ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ২১৮ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৭২ পয়েন্টে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ২০৯ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ার দর।

সম্পাদনা শাহীন চৌধুরী