দৈনিক আমাদের সময় : আজমেরী হক বাঁধন। ট্রেডিশনাল শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। ভালোবাসেন বই পড়তে আর ঘুরে বেড়াতে। প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে নানা পদের মিষ্টান্ন। আজকের তারার স্টাইলে জানিয়েছেন তার পছন্দ-অপছন্দের নানা কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেনÑ আঞ্জুমান আরা শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য
বাঁধনের প্রিয় পোশাক শাড়ি। ট্রেডিশনাল শাড়ির প্রতি রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। প্রিয় পোশাক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব ধরনের পোশাকই পরা হয়। কিন্তু শাড়িতে আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শাড়ি বেশি পরি। শাড়ির মধ্যে জামদানি শাড়ি আমার ভীষণ প্রিয়। মেয়ের সঙ্গে ম্যাচিং করে পোশাক পরতেও ভালো লাগে।’ বাঁধনের প্রিয় রঙ লাল। শুধু লাল নয়, লালঘেঁষা যে কোনো রঙই তার ভালো লাগে বলে জানান তিনি।
অনুষঙ্গের প্রতি দুর্বলতা
জুয়েলারি পরতে পছন্দ করেন বাঁধন। নির্দিষ্ট কোনো ধরন নেই, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গহনা পরেন। কসমেটিকসের মধ্যে কাজল আর লিপস্টিকের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। লিপস্টিকের মধ্যে ন্যাচারাল লাইট শেড লিপস্টিক পছন্দ। পোশাক হোক বা এক্সেসরিজ, নির্দিষ্ট কোনো ব্র্যান্ড নয়, যখন যেটা ভালো মনে হয় সেটাই ব্যবহার করেন বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট
বাঁধনের প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে মিষ্টি এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার। বাঁধন বলেন, ‘শুধু খেতে নয়, আমি মিষ্টিজাতীয় খাবার রান্না করতেও বেশ ভালোবাসি। আমার হাতের পায়েস, কাস্টার্ড, গাজর মালাই ও রোস্ট রান্নার সুনাম রয়েছে।’ সম্প্রতি অনেকখানি বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলেছেন বাঁধন। ডায়েট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু ডায়েট নয়, স্বাস্থ্যকর ডায়েট করি। বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে শুধু ডায়েট করলেই হবে না, সুষম ডায়েট করতে হবে এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে। ডায়েট করার ক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই কিছু ভুল করি। তা হচ্ছে ডায়েট বলতেই না খেয়ে থাকা বুঝি, একজনের ডায়েট অন্যজন অনুসরণ করি। এটা মোটেই উচিত নয়। কারণ প্রত্যেকেরই বয়স, ওজন, উচ্চতা যেমন ভিন্ন, তেমনি ডায়েট চার্টও ভিন্ন। আর শুধু ডায়েট করলেই হবে না, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে।’
এক চিলতে অবসর
ছোটবেলায় বাঁধনের স্ট্যাম্প সংগ্রহের শখ থাকলেও বড়বেলায় ভালোবাসেন বই পড়তে আর ঘুরে বেড়াতে। তার মেয়ে সায়রাও ভালোবাসেন ঘুরে বেড়াতে। মা-মেয়ে দুজনারই পছন্দ কক্সবাজার। তিনি বলেন, ‘সময়-সুযোগ পেলেই আমরা মা-মেয়ে কক্সবাজার চলে যাই। এক চিলতে অবসরে বাসায় মেয়ের সঙ্গে খেলা করি, মুভি দেখি, মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাই। এর বাইরে কিছুটা সময় নিজের জন্যও রাখি। এ সময়টা শুধুই আমার। এ সময় আমার যা যা করতে ভালো লাগে তাই করি। বিশেষ করে বই পড়ি। এতে আমি মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকি। শুধু আমি নই, প্রত্যেক নারীরই শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন। কারণ একজন নারী তখনই পরিবার বা আশপাশের মানুষকে ভালো রাখতে পারবে, যখন সে নিজে ভালো থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে ছোটবেলা থেকেই একজন মেয়েকে শুধু মেয়ে বা নারী হিসেবে ভাবতে শেখানো হয়; কন্যা, স্ত্রী, জননী রূপে সে কীভাবে সবার সন্তুষ্টি অর্জন করবে সেই দীক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু নিজেকে একজন মানুষ হিসেবে ভাবতে শেখানো হয় না, যা ঠিক নয়। আমি শুধু নারী নই, নিজেকে একজন মানুষ হিসেবে ভাবতে চাই এবং ভালো মানুষ হতে চাই।’
আপনার মতামত লিখুন :