শিরোনাম
◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন ◈ চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:৩৩ সকাল
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এরদোগান কি চাপের মুখে?

বাংলাদেশ জার্নাল : জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান চাপের মুখে রয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিবিসি জানায়, ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মঙ্গলবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট যে বক্তৃতা দিয়েছেন, তাতে তিনি ‘কি নগ্ন সত্য উদঘাটন করেন’ তা নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল থাকলেও বাস্তবে দেখা গেল - এতে তেমন নতুন তথ্য ছিল খুবই কম।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হয়তো তিনি সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে চান না- আর এর পেছনে পর্দার অন্তরালে হয়তো মার্কিন চাপ বা অন্য কিছু কাজ করে থাকতে পারে।

রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান মঙ্গলবার কী বলেন, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই একটি ব্যাপক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কারণ তিনি নিজেই কদিন আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, তিনি জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ‘নগ্ন সত্য’ ফাঁস করে দেবেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আজ যা প্রকাশ করলেন- তাতে আসলে ঘটনা সম্পর্কে নতুন তথ্য কমই জানা গেছে।

তুর্কি কর্তৃপক্ষ এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার যে অডিও রেকর্ডিং থাকার কথা বলেছিল, সেটির কোন উল্লেখও এরদোগানের বক্তৃতায় ছিল না। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কোন কিছুই উল্লেখ করেননি, যিনি এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেন বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।

‘খাসোগির মৃতদেহ কোথায়, এবং কে তাকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছে’ - সৌদি আরবের কাছে তা জানতে চান এরদোগান তার ভাষণে। তবে সৌদি বাদশাহ সালমানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি তিনি। তিনি বলেন, এরকম প্রশ্ন তোলার কোন কারণ তিনি দেখছেন না।

প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড ছিল খুবই একেবারেই পূর্ব পরিকল্পিত, খুব বর্বর এবং সহিংস পদ্ধতিতে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।’ কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তা তিনি প্রকাশ করেন নি।

বিবিসির বিশ্লেষক মার্ক লোয়েন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান সংঘাতে জড়াতে সাধারণত দ্বিধা করেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে মনে হচ্ছে, তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে এখনো কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। এর কারণ হয়তো পর্দার অন্তরালে ওয়াশিংটনের চাপ বা অন্য কোন কিছু।

ব্যাপারটা যাই হোক, বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যতটা প্রশ্নের উত্তর জোগালেন, তার চেয়ে যেন নতুন প্রশ্ন তুললেন অনেক বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়