আসিফুজ্জামান পৃথিল : মানবদেহ নিয়মিতভাবে প্লাস্টিক দিয়ে দুষিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মে তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমরা রোজ যা খাই এবং পান করি তার প্রায় প্রতিটিতেই অতি ক্ষুদ্রাকৃতির প্লাস্টিক পাওয়া গেছে।
এতদিন পর্যন্ত প্লাস্টিকের ক্ষতি বিষয়ক প্রায় প্রতিটি গবেষণাই ছিলো প্রকৃতি কেন্দ্রিক। এই প্রথমবারের মতো মানবদেহে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হলো। গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে মানুষ প্রতিদিন ৯ প্রকারের ক্ষুদ্রাকৃতির প্লাস্টিক গলাদ্ধকরণ করে। এর মধ্যে কোন কোনটা চিরস্থায়ীভাবে আমাদের দেহে থেকে যায়। মানবদেহে এত ধরণের প্লাস্টিক উপস্থিতিতে হতবাক হয়ে গেছেন গবেষকরা। তারা বলছেন মাছ খেলে বা প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করলেও শরিরে স্থান নেবে প্লাস্টিক! পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, মানুষের পক্ষে এখন প্লাস্টিক খাওয়া বা পান করা এড়ানো এক কথায় অসম্ভব। এর ফলে সংক্রামন বাড়া, হজমে সমস্যা সহ নতুন নানান রোগ সুষ্টির প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।
এ বিষয়ে গবেষণাটির প্রধান গবেষক ড: ফিলিপ সোয়াবল বলেন, ‘এটা এ ধরণের প্রথম গবেষণা। এর ফলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে আমাদের সন্দেহ সত্য। বহুদিন ধরেই আমাদের সন্দেহ ছিলো প্লাস্টিক আমাদের পাকস্তলি পর্যন্ত যায়। এর ফলে পেটের অসুখের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা প্রথমবারের মতো মানবদেহে ক্ষুদ্রাকৃতির প্লাস্টিকের প্রমাণ পেলাম। মানব দেহে এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।
মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার এ গবেষণায় প্রতিটি মলের স্যাম্পলেই প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে। এ গবেষণায় যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, রাশিয়া এবং অস্ট্রিয়ার অধিবাসিদের মল নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ মল বলে চিহ্নিত হয়েছে যুক্তরাজ্যের অধিবাসিদের মল। মলে প্রাপ্ত ৯ ধরণের প্লাস্টিকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে পলিপ্রোপাইলিন এবং পলিথিন টেরাফেলাইলেট (পেট)। দুটোই মূলত খাদ্য এবং পনিয় প্যাকেজিং এ ব্যবহৃত হয়। ডেইলি মেইল
আপনার মতামত লিখুন :