তরিকুল ইসলাম সুমন : ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে ২৫ লাখ টন বাড়তি চাল উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশের আউস ও আমন চাষাবাদে জমি পুনর্বিন্যাস, অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা এবং দেশি জাতের পরিবর্তে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ধানের আবাদ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, দেশে চাল উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, চালের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার বোরো আবাদের পর আউশের আবাদ করা, বোরো আবাদ কমিয়ে আউশের আবাদ বৃদ্ধি করা, স্বল্প জীবনজাত জাতের ধানচাষ সম্প্রসারণ করা, খরা সহিষ্ণু জাতের সম্প্রসারণ করা, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণ করা, লবণাক্ত জোয়ারভাটা অঞ্চলের জন্য উপযোগী জাতের ধান চাষ সম্প্রসারণ করা, স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষ সম্প্রসারণ করা, হাইব্রিট জাতের ধানের চাষ সম্প্রসারণ, চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ কর্মসূচি, সার ও ডিজেল মূল্যে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করা এবং উন্নয়ন সহায়তায় হ্রাসকৃত মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বেগম হাজেরা খাতুনের (মহিলা আসন- ৩৯) অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একজন সার ডিলার ও ৯জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা হয়েছে। সারের ক্রয়মূল্য চার দফায় কমানো হয়েছে। এছাড়াও গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উন্নতমানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য উন্নয়ন বাজেটের পাশাপাশি প্রথমবারের মত ২০১৬-১৭ অথর্ত বছর হতে গবেষণার জন্য রাজস্ব বাজেটে অর্থের সংস্থান রেখে বরাদ্দ প্রদান শুরু করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :