শিরোনাম
◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:০৪ সকাল
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আইন অনুযায়ী জামায়াতকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা সম্ভব না: ইসি সচিব

সাইদ রিপন : আদালতের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বা জোটগতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিব এ কথা বলেন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, আমরা জামায়াতের অনুসারী বা নেতাকর্মী কিংবা যুদ্ধাপরাদীদের উত্তরাধীকারী যেন কোনোভাবে নির্বাচন করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছি। সিইসি এ বিষয়ে বলেছেন, এজন্য প্রয়োজনীয় আইন বাংলাদেশ নেই। পরবর্তীতে বিচেনা করতে হবে। কেননা, অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয় আছে। সরকারের অন্য আইনের বিষয়ও আছে।

পরে এ বিষয়ে সচিব বলেন, ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির নেত্রীবৃন্দ তাদের দাবিগুলো জানিয়েছেন। জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি আইন-কানুন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে আমরা অবহিত করবো। এছাড়া আরপিও সংশোধনের বিষয়টি পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কোনো সংগঠন আলোচনার জন্য সময় চাইলে, সিইসি সময় দিলে, আলোচনা করা যেতে পারে। তারাও তো ভোটার। ভোটাররাও তো আমাদের স্টেকহোল্ডার।

সিইসির কাছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হচ্ছে, ঝুঁকিপূর্ণ সকল নির্বাচনি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হুমকি প্রদানকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, জামায়াতের অনুসারিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলকে ঘোষণা করতে হবে যে, তাদের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই, নির্বাচনের সময় মুক্তিযুদ্ধ ও সংবাধানবিরোধী এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রচারকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, ৭১ এর গণহত্যাকারীদের সন্তান বা পরিবারের অন্যান্য সদস্য, যারা সর্বোচ্চ আদালতের রায় অগ্রাহ্য করছে তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণা এবং সেনাবাহিনীকে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোনো কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত করলে তাদের অন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে দাবিতে জানানো হয়।

সম্পাদনা: হুমায়ূন কবির খোকন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়