শিরোনাম
◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০১:৫২ রাত
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০১:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এখন যদি খালেদা জিয়া মুক্তি পান?

বিভুরঞ্জন সরকার : সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ২৪ অক্টোবর সিলেটে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে। গণজোয়ার সৃষ্টি করাই নাকি এখন ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য। তৃণমূলে ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোক্তা শরিকদের সংগঠন বা সমর্থক আছে বলে মনে হয় না। ঐক্যফ্রন্ট সভা-সমাবেশ করবে মূলত বিএনপির ওপর ভরসা করে। বিএনপিকে সহায়তা করবে পেছন থেকে জামায়াত। বিএনপির প্রতি সরকারের মনোভাব কী, সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার স্পষ্ট করে বলেছেন। ২২ অক্টোবর সংবাদ-সম্মেলনেও তিনি তাকে যারা হত্যা করতে চায়, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী, তাদের ব্যাপারে তার কঠোর মনোভাবের বার্তাই দিয়েছেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির প্রতি যে নমনীয়তা দেখানো হয়েছিলো, এবার যে তার কোনো আশা নেই; সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাখঢাক না করেই বলেছেন। বিএনপি তাদের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক দুর্যোগ থেকে মাথা বাঁচানোর জন্য যে ছাতার ( ঐক্যফ্রন্ট) নিচে আশ্রয় নিয়েছে, সে ছাতাটি শুধু জীর্ণ নয়, বলা যায় ব্যবহার অনুপযোগী। ঐক্যফ্রন্টের দুই স্তম্ভ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এরমধ্যেই বেফাঁস কথা বলে গাড্ডায় পড়েছেন। ড. কামালকে সামনে নিয়ে যারা এক ধরনের স্বপ্ন-জগতে বিচরণ করছেন, তারা খুব শিগগিরই হতাশ হবেন। কারণ তিনি কখনই রাজনীতির বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকা পালন করতে পারেননি। ঝামেলা দেখলে তিনি উড়াল দেবেন। তিনি জাতীয় দায়িত্ব পালনের চেয়ে ‘আন্তর্জাতিক’ অঙ্গনে বিচরণে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় ‘এ গাছের ছাল, ও গাছের বাকল’ দিয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের মাথায় কাঁঠাল রেখে খাওয়ার যে পরিকল্পনা বিএনপি-জামায়াত করেছে, সেটা সফল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। প্রধানমন্ত্রী বেশ পরিষ্কার ভাষায়ই বলেছেন, ২০১৪-১৫ সালের আগুন সন্ত্রাসের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা হলে মোকাবেলায় যা যা করা দরকার, সরকার করবে। জনগণকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে হাওয়া বদলে যাওয়ার আশায় যারা আছেন কিংবা যারা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কথা ভাবছেন, তারা সরকারের অবস্থান যতো দুর্বল বলে মনে করছেন, বাস্তবে সরকার ততো দুর্বল অবস্থায় নেই।

কামাল হোসেন নিজেও হয়তো বুঝতে পারছেন না তিনি কোন ফাঁদে পা দিয়েছেন। মাহমুদুর রহমান মান্নার রাজনৈতিক আদর্শ হলো : হেথা নয় হোথা নয়, অন্য কোথাও, অন্য কোনো খানে’। তিনি জীবনে বহুবার দল বদল করেছেন। ঐক্যফ্রন্টই তার শেষ ঠিকানা, সে নিশ্চয়তা কে দিতে পারে?

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, বিএনপি চেয়ারপারন খালেদা জিয়ার যদি আইনি প্রক্রিয়ায় হঠাৎ করে কারামুক্তি ঘটে তখন মির্জা ফখরুল, মওদুদ আহমদেরা কি কামাল হোসেনকে নেতা মেনে চলবেন? খালেদা জিয়া কি কামাল হোসেনকে জোটের নেতা মেনে নেবেন?

ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে গোড়া থেকেই নাটকীয়তা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, নাটক এখনও শেষ হয়নি। চোখ-কান খোলা রাখলে দ্রুতই আরো নাটকীয় কিছু দেখা বা শোনা অসম্ভব কিছু হবে না হয়তো। শেষ করি রজনীকান্তের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করে :

‘আমি নয়নে বসন বাঁধিয়া

বসে, আঁধারে মরি গো কাঁদিয়া,

আমি দেখি নাই কিছু, বুঝি নাই কিছু

দাও হে দেখায়ে, বুঝায়ে

মলিন মর্ম মুছায়ে।’

বুঝো হে সুজন, যে জানো সন্ধান। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়