শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:৫৬ সকাল
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইয়াবা-হেরোইন কেনাবেচায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশ জার্নাল : ইয়াবা (অ্যামফিটামিন), কোকেন, হেরোইন পরিবহন, কেনাবেচা, ব্যবসা, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তান্তর, সরবরাহ ইত্যাদি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রেখে সংসদে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৮ উত্থাপন হয়েছে। অবশ্য বহনের পরিমাণ অনুযায়ী সাজা কমবেশি হতে পারে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ, সরবরাহ, মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও একই ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

সোমবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। পরে বিলটি অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত আইনে কোকেন, কোকো মাদক চাষাবাদ, উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে ২৫ গ্রামের বেশি হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর ২৫ গ্রামের নিচে হলে কমপক্ষে দু’বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে। ইয়াবা বহনের ক্ষেত্রে ২০০ গ্রামের বেশি হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। তবে ১০০ গ্রাম বা মিলিলিটার হলে সর্বনিম্ন ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

কেউ যদি সজ্ঞানে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের জন্য তার মালিকানাধীন অথবা দখলি কোনো বাড়িঘর, জায়গা-জমি, যানবাহন, যন্ত্রপাতি অথবা সাজ-সরঞ্জম কিংবা অর্থ-সম্পদ ব্যবহারের অনুমতি দেন তাহলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এছাড়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত না এমন কোনো ব্যক্তির কাছে অথবা তার জায়গায় যদি মাদকদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য কোনো যন্ত্রপাতি, ওয়াশ অথবা অন্য উপকরণ পাওয়া যায় সেটাও অপরাধ বলে গণ্য হবে। এর শাস্তি ন্যূনতম দুই বছরের কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড।

বিলে আরও বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি অ্যালকোহল পান করতে পারবে না এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে সিভিল সার্জন অথবা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অন্যূন কোনো সহযোগী অধ্যাপকের লিখিত ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো মুসলমানকে অ্যালকোহল পান করার অনুমোদন দেওয়া যাবে না। প্রস্তাবিত আইনানুযায়ী, মাদকাসক্ত ব্যক্তির ডোপ টেস্টে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেলে কমপক্ষে ৬ মাস ও সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়