সাজিয়া আক্তার : লালমনিরহাট-২ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলে দলে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের অসদাচরণ, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতারা দল ছাড়ছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। সূত্র: ডিবিসি টেলিভিশন
আদিতমারী-কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত লালমনিরহাট-২ আসনটি ৩৫ বছর ধরে ছিল জাতীয় পার্টির কব্জায়। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মজিবুর রহমান অংশ না নেয়ায় এই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান আহমেদ।
প্রথমে খাদ্যমন্ত্রণালয় ও পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু তার অসদাচরণ, অনিয়ম-দুর্নীতি, নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন ও দলের খোঁজখবর না রাখায় দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ত্যাগী নেতারা। তারা বলছেন, পাঁচ বছর কেটে গেলেও, তৃণমূল নেতাদের কোনও মূল্যায়ন করা হয়নি। এমনকি আজ পর্যন্ত কোনও সভা বা আলোচনা করা হয়নি তাদের নিয়ে।
সম্প্রতি আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক, যুবলীগের সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগসহ দলটির প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগদানকারী মবিয়ার রহমান বলেন, আমাদের আশা ছিল, আমাদের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মূল্যায়িত করা হবে, কিন্তু সে মূল্যায়ন না হয়ে আমরা অবমূল্যায়িত হয়েছি।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, আমাদের মধ্যে কিছু বিতর্ক সৃষ্টির জন্যে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, হয়তো দুই একজন কর্মী ছুটছেন অন্য দলে। তারা কেন যাচ্ছেন বা কী কারণে যাচ্ছেন, এটা আমরা নজর রাখছি। নির্বাচনে যাতে এর প্রভাব না পড়ে সেজন্য দল তৎপর রয়েছে।
আওয়ামী লীগকে আসনটি ধরে রাখতে হলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যয়ন ও নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :