শিহাবুল ইসলাম : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা দেখে ভোটারবিহীন, অবৈধ ও স্বেচ্চাচারি আওয়ামীলীগ সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে কতটা কার্যকর, সরকারের ভাষাভঙ্গি বক্তব্য দেখলেই বুঝা যায়। শিগগিরই তাদের মাথা আরও খারাপ হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুন বাগিচার শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে 'নির্বাচন ও মানবাধিকার' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ এইড ফাউন্ডেশন (ইডাফ) সভার আয়োজন করে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সরকারকে উদ্দেশ্যে করে দুদু বলেন, ‘আপনারা টের পাবেন আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়, কত ধানে কত চাল হয়, এখনও বুঝতে পারেন নাই। কারণ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন সমাজ এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে তাদের অতীত একটি পরিচয় আছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মানুষের মধ্যে আশাবাদ সৃষ্টি করার পরও সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে সরকার।আমাদের নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'বাংলাদেশের অন্যতম গণতন্ত্র প্রিয় ব্যক্তিক্ত্ব হচ্ছেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের পার্লামেন্টে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদ করে শতশত রাজনীতিবিদের মধ্যে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি বাকশালের বিরোধীতা করে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
গণতন্ত্রের পক্ষে ভূমিকা নিয়েছিলেন।তাকে ঠুনকো অভিযোগে দেশের প্রথিতযশা কিছু ব্যক্তি তার সঙ্গে যে আচরণ করছে আমি অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে দেখি আর ভাবি। যখন দেশের শেয়ারবাজারের লুন্টন কারী হিসেবে যারা চিহ্নিত, বাংলাদেশের সেন্টাল ব্যাংক যখন লুটপাট করা হয়েছে, অধিকাংশ ব্যাংক যখন ফাকা করে ফেলা হয়েছে, এসব ব্যক্তিরা কি তখন সরকারের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠিয়ে ছিলেন? মামলা করেছিলেন?
তিনি বলেন, যেখানে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা থাকে না, বাকস্বাধীনতা থাকে না, ব্যক্তি তার অধিকার হারায়, সেখানে মানবাধিকার বলে তো কিছু থাকে না। বাংলাদেশে মানবাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। দেশ এবং বিশ্ববাসী জানে স্বাধীন একটি দেশে এখন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এই ফ্যাসিবাদ এতটাই ভয়ঙ্কর যা কিছু সৃজনশীল, যা কিছু ভালো সেগুলো সব তছনছ করে ফেলেছে। আমাদের অতীতের যে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সেগুলো সব ধ্বংস করে দিয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ সভাপতি ছানোয়ার হোসেন, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো:আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ও যুবদল নেতা কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :