শিরোনাম
◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০১:০০ রাত
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নদীর নাব্যতা ফেরাতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

সাইদ রিপন : দেশের প্রধান প্রধান নৌরুটে নদীর নাব্যতা উন্নয়নে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ‘৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পটি আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, একনেক সভায় আজ ২১টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হবে ১৭ হাজার ৩১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে ২ হাজার ২২৭ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির মাধ্যমে ড্রেজিং সক্ষমতা বাড়িয়ে নদীগুলোর ৮ হাজার কিলোমিটার নৌপথে নাব্য উন্নয়নের মাধ্যমে নিরাপদ নৌপরিবহন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে দেশে ছোট-বড় মিলে ৪শ নদী রয়েছে, যার মধ্যে ৫৭টি আন্তঃদেশীয়। নদীগুলো বছরে প্রায় ১১০ কোটি টন পলি জমা করে। এর ফলে পলির স্তর পড়ে স্রোতের গতি কমে চর সৃষ্টি হচ্ছে এবং স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নদী ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ পর্যাপ্ত খনন যন্ত্রপাতির অভাবে নদীগুলো ঠিকমতো খননও করা সম্ভব হচ্ছে না। দিন দিন গভীরতা কমতে কমতে নাব্য হারিয়ে নৌরুটগুলোয় জলযান চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সুবীর কিশোর চৌধুরী একনেকের সারসংক্ষেপে বলেছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ক্রমবর্ধমান ড্রেজিং চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং সক্ষমতা বাড়বে। আর নদীগুলো নাব্যতা ফিরে পেলে নৌপথে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। এজন্য অক্টোবর ২০১৮ থেকে জুন ২০১৮ সালে এটি বাস্তবায়নের লক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হলো, ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহ। এর মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশসহ ২৮ ইঞ্চি ২টি, ২৪ ইঞ্চি ৮টি, ২০ ইঞ্চি ৮টি, ১৮ ইঞ্চি ৯টি ও ১২ ইঞ্চি ২টি সাকশন ড্রেজার, ২টি ট্রেইলিং সাকশন হোপার ড্রেজার, ২টি ওয়াটার ইনজেকশন/জেটিং ড্রেজার এবং ২টি সেলফ প্রপেল্ড পন্টুন মউনটেড গ্রাব ড্রেজার। একই সঙ্গে ৩৫টি কাটার সাকশন ড্রেজার ক্রেনবোট, অফিসার ও ক্রু হাউজবোট ৩৫টি, পাইপ কেরিং ডার্ম্ব বার্জ ১৫টি, বোলার্ড পুলের টাগবোট ১৭টি সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ৫টি করে ওয়েল ও ওয়াটার বার্জ, ১০টি সার্ভে ওয়ার্কবোট, ২টি ইন্সপেকশন ভেসেল, ১টি কেবিন ক্রুজার সংগ্রহ, ৮৬ হাজার বর্গমিটার অফিসার ও স্টাফ কোয়ার্টার এবং ডরমিটরি নির্মাণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়