মতিনুজ্জামান মিটু: উদ্ভিদজাত খাদ্য ও বীজের বিশাল ঘাটতি নিয়ে চলছে দেশ। বছরে আমদানি করতে হয় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ও বিভিন্ন ফসলের বীজ। প্রতি বছর চাল, গম ও ভূট্টাসহ দানা জাতীয় সব ধরণের খাদ্য, আলু বাদে সব ধরণের সবজি, কাঁচা ও শুকনা ফল, সয়াবিন ও সরিষাসহ সব ধরনের তেল, মশুরীসহ প্রায় সব ধরণের ডাল, পিয়াজ-মরিচসহ সব ধরনের মসলা, ময়দাসহ ষ্টার্চ জাতীয় সব ধরণের খাবার এবং দানাদার শস্য, সবজি, ফল ও ফুল বীজ আমদানি করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর হিসেবে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে আমদানি করা হয় প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল, প্রায় ৫৬ লাখ মেট্রিক টন গম ও সোয়া ৬ লাখ মেট্রিক টন ভূট্টাসহ প্রায় ৬৫ লাখ মেট্রিক টন দানা জাতীয় খাদ্য শস্য, ৫,৪৭৭৩৩ মেট্রিক টন ফল, ৬৪০১৭ মেট্রিক টন শুকনা ফল, ১২,৭২০০৩ মেট্রিক টন ডাল জাতীয়, ১১,১৩,৬৫৩ মেট্রিক টন তেল জাতীয়, ১২,৬১, ৯৩১ মেট্রিক টন মসলা জাতীয়, ৬৫,০৪৫ মেট্রিক টন স্টার্চ জাতীয়, ৫৯,৪০৭ মেট্রিক টন এবং ২৯,০১০ মেট্রিক টন অন্যান্য কৃষিজাত খাদ্য শস্য আমদানি করা হয়। এছাড়া এসময় আমদানি করা হয় প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন ধান, গম, পাট, মেস্তা পাট, সবজি, ফল বীজ, সরগম ও ফুল বীজ।
২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে উদ্ভিদজাত খাদ্য আমদানির পরিমাণ আগের অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে। এসময় দেশের চাহিদা মেটাতে আমদানি করা হয় ৩৯ লাখ ১২ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন চাল। আর চলতি অর্থবছরে চাল ও গমসহ খাদ্য আমদানির ওই ধারা অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন কাস্টম চেকপোস্ট দিয়ে চালসহ এসব উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানি হচ্ছে। তবে বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরাকরিভাবে পর্যাপ্ত মজুদ খাকায় এবং আরডি ও সিডি আরোপ করায় লোকসানের ভয়ে আমদানিকারকরা আগের মতো চাল আমদানি করছেন না।
চালের আমাদনিকারক বেনাপোলের মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। সোনা মসজিদ ও ভোমরা চেকপোস্ট দিয়ে সামান্য পরিমাণে চাল ঢুকছ্।ে না পোষানোর কারণে বর্তমানে অনেক আমদানিকারক চাল আনছেন না। চলতি অর্থবছরের বিগত ৩ মাস ধরে চলছে চাল আমদানির এ অবস্থা। উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর হিসেবে প্রায় প্রদিদিনই চাল ্আসছে এবং আমদানি করা চালের ৯০ ভাগই আসে ভারত থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :