আসিফুজ্জামান পৃথিল : মিয়ানমারে স্থানান্তরের চাইতে মৃত্যুকেই শ্রেয় বলে মনে করছেন ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ভারতের পুলিশ তাদের বায়োমেট্রিক তথ্য নিতে এলেই তারা বলছেন, এ তত্য না দিয়ে আমাদের হত্যা করুন অথবা আমাদের শিবির বোমা মেরে উড়িয়ে দিন।
এর পূর্বেও বায়োমেট্রিক ফরম পূরণ করেছেন দিল্লির রোহিঙ্গারা। কিন্তু এবার ফরমের দুটি লাইনের কারণেই রোহিঙ্গারা ভংাবহ দ্বিধায় ভুগছেন। লাইন দুটি হলো, ‘এমি মিয়ানমার বাঙালি’ এবং ‘আকরিন এমি মিয়ানমার বাঙালি’। এগুলোর অর্থ মিয়ানমারের বাঙালির নাম, মিয়ানমারের বাঙালির ডাক নাম! এ ফরমে রোহিঙ্গার বদলে এ জনগোষ্ঠীকে বাঙালি বলায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তারা।
শরণার্থীরা মনে করছেন এ দুলাইন তাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে পরিচয়কে বিঘিœত করবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলে স্বিকার করে না মিয়ানমার। তারা সর্বদাই এ সংখ্যালঘুদের অবৈধ বাঙালি বলে সম্বোধন করে থাকে। তবে এ সম্বোধন ঐতিহাসিকভাবেই মিথ্যা বলে প্রমানিত। কারণ এ রোহিঙ্গারা ৪ শতাধিক বছর আরাকান তথা রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে আসছে। মিয়ানমারের সাথে ভারতের সুর মেলানো স্পষ্টভাবেই শরণার্থীদের অধিকারকে খর্ব করে। নিউজ১৮
আপনার মতামত লিখুন :