আসিফুজ্জামান পৃথিল : মহাকাশের সবচেয়ে রহস্যময় বস্তু ধরা হয় কৃষ্ণগহ্বরকে। মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা এ বস্তুর ঘণত্ব এতই বেশি যে আলো পর্যন্ত এর ভেতরে প্রবেশ করে হারিয়ে যায়। এর সবচাইতে রহস্যময় অংশ হলো চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে এর সম্পর্ক। মানুষের জানা রয়েছে অনেক কৃষ্ণগহ্বরের চারিপাশে অত্যন্ত শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র থাকে। তবে এতদিন এর কারণ জানা ছিলো না।
নতুন এক গবেষণায় এ রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। প্রথমবারের মতো জোর্তিবিজ্ঞানীরা একটি সুবিশাল কৃষ্ণগহ্বরের পাশে একটি চৌম্বকক্ষেত্রের কার্যপ্রণালী প্রতক্ষ্য করেছেন। এই কৃষ্ণগহ্বরটি পৃথিবী থেকে ৬০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ‘সিগনাস-এ’ গ্যালাক্সির মধ্যভাগে অবস্থিত। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন এ চৌম্বকক্ষেত্র বস্তুকণাকে টেনে কৃষ্ণগহ্বরের অভ্যন্তরে নিয়ে যাচ্ছে, অনেকটাই কসমিক নেটের মতো। এ আবিস্কারের ফলে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন কেনো কিছু গ্যালাকটিক নিউক্লিয়াস এতাটা শক্তিশালী হয়। ইউনিফিড মডেল অনুযায়ী গ্যালাকটিক নিউক্লিয়াস একটি সুবিশাল কৃষ্ণগহ্বর। এর আকৃতি অনেকটিা ডোনাটের মতো। এছাড়াও জানা যাবে কৃষ্ণগহ্বর কিভাবে তৈরী হয় কিংবা কি কারণে তৈরী হয়।
নাসার ‘স্টারোস্ফরিক অবসারভেটরি ফর ইনফারেড অ্যস্ট্রোনমি’ নামের উড়ন্ত গবেষণাগারে থাকা হাই রেজ্যুলেশন এয়ারবোর্ণ ওয়াইডব্র্যান্ড ক্যঅমেরা-প্লাস ব্যভহার করে বিজ্ঞানিরা এ কৃষ্ণগহ্বরের চিত্র পেয়েছেন। কৃষ্ণগহ্বরের ধারণা পাবার পর থেকেই জ্যোতিবিজ্ঞানীরা এই মহাকাশের বিষ্ময়ের বিষয়ে আগ্রহী। প্রয়াত তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তারা পুরো জীবনই কৃষ্ণগহ্বরের পেছনে ব্যয় করেছেন। তবে আফসোসের বিষয় একটাই, কৃষ্ণগহ্বরের রহস্যের জট সেবছরই খুলতে শুরু করলো, যে বছর এ মহাবিজ্ঞানী অনন্ত নক্ষত্রলোকে পারি জমিয়েছেন। সায়েন্স অ্যালার্ট