সাজিয়া আক্তার : ১৮৬১ সালের বস্তাপঁচা আইনগুলো এখনো আমরা জিইয়ে রেখেছি। বিএনপি অনেকবার ক্ষমতায় ছিল তারাও আইনগুলো বদল করেনি। যমুনা টেলিভিশনের রাজনীতি বিষয়ক টকশোতে লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ এমনি মন্তব্য করেছেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার মনে পড়ছে মহাভারতের সেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কথা। যা বহু বছর ধরে চলেছিল কুরু-পান্ডবের যুদ্ধ। এখনো অনেকটাই সেই ধরনের মনে হচ্ছে। গত ২০-২৫ বছর ধরে পাল্টাপাল্টি চলছে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে, ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে। যে অভিযোগগুলো বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে করছে, সেই একই অভিযোগ আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে আগে করেছিলো। সময়টা পাল্টে গেছে, অভিযোগকারিদের মুখগুলোও পাল্টে গেছে। কিন্তু অভিযোগগুলো সেই একই রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিষয়টা খুবই স্থুল, আবার অনেক সময় অনৈতিক। এখন সামনে নির্বাচন তাই সমান্তরাল মান দরকার। যাতে সবধরনের রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পায়। সেখানে নানা রকমের বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। যেখানে বিএনপি দায়ি করছে আওয়ামী লীগকে। তারা একতর্ফা নির্বাচন করতে চায় বিএনপিকে বাইরে রেখে। আর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সুতরাং আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের ধরা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কার কথা কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই খেলাটি চলতেই থাকবে। যেহেতু এখন সরকারি দলের হাতে অনেক ক্ষমতা। আমরা মুখে বলি স্বাধীন এবং কথায় কথায় বলি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা সকাল-বিকাল বঙ্গবন্ধুর নাম বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন কিন্তু তার লেখা পড়ে বলে মনে হয় না। ১৯৫৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী মাসে গণপরিষদে বক্তৃতা দিয়েছিন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, টেলিফোনে আরিপাতা হয় বা গণপরিষদের যারা হোস্টেলে থাকতেন তাদের কাছে যে চিঠি আসে গোয়েন্দারা সে চিঠিগুলো খুলে দেখে তার পর তাদের হাতে দিত। পাকিস্তানামলে যে কাজ গুলো হতো বৃটিশ আমলেও সেরকম হতো। সেই আইন কাননগুলো আমরা সযত্নে রেখে দিয়েছি। এখনো তার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :