আরিফুর রহমান তুহিন: দেশে বর্তমানে ৩ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। আর ১ কোটি মানুষ অতি দরিদ্র। বর্তমানে যে কর্মসূচীগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে দারিদ্র দূর করা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) কর্তৃক আয়োজিত ‘ বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী সম্মেলন ২০১৮’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন করে চলমান কর্মসূচি রিভিউ করতে হবে, দেখতে হবে কাঙ্খিত হারে তা কমছে কিনা। যদি কমার হার সন্তোষজনক না হয়, তাহলে প্রয়োজনে নতুন কর্মসূচি নিতে হবে। সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আজকের কিশোর-কিশোরীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এ জন্য নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই বিপুল সংখ্যক মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আগামী ৭ থেকে ১০ বছর উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হবে। তবেই দারিদ্রের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু দেশের মাটি ও মানুষের উপযুক্ত ব্যবহারের আহবান জানিয়েছিলেন। আজকের কিশোর-কিশোরিদের সেই আহবান বুকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। ‘তাদের’ মাধ্যমেই ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, টেকসই উন্নয়নের প্রধান শর্ত হলো কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। এই মূলমন্ত্র নিয়েই পিকেএসএফ তার কার্যক্রম এমনভাবে সাজিয়েছে যেন নৃগোষ্ঠী, স¤প্রদায়, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, বয়স নির্বিশেষে সকলের টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি মানবমর্যাদা নিশ্চিত হয়। সমন্বিত এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই কিশোর-কিশোরী সম্মেলন ২০১৮-এর আয়োজন। আপন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধে বলীয়ান ভবিষ্যত জাতি
গঠনে পিকেএসএফ-এর এই কার্যক্রম আগামীতে আরও জোরদার হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মেলনের দেশের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে সৃজনশীল ও জ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাইকৃত ৭১০ কিশোর-কিশোরী অংশ নেয় ।শেষাংশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আপনার মতামত লিখুন :