দেবদুলাল মুন্না : আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন জোট গঠন চলছে। জোট ভাঙছেও। এ নিয়ে পত্রিকা আর টিভি’র টকশো যেমন সরগরম তেমনি পিছিয়ে নেই ফেসবুকও। ফেসবুকে পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে কোন সেন্সর নেই বলেই হয়তো বেশ রসাত্মক মন্তব্য পাওয়া যায়। মোবারক মোল্লা নামের একজন লিখেছেন, বাপ-পোলা করলেন কত শখ করে বিকল্পধারা দল। সেই দলটিও ভেঙে গেলো, এবার তারা কী করবেন? পোলার শ্বশুর তো আছেনই। এবার কি নিজ স্ত্রী ও পুত্রবধুকে দিয়ে আরেকটি দল করাবেন রাজ(নীতি)কল্প ধারা ?
জাবেদ পীরজাদা লিখেছেন, জোটের রাজনীতির সুবিধা নিতে চান ছোট দলের বড় নেতারা। যেমন এখন সরকারের আছেন রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু। আবার এখন সরকারবিরোধী জোটে কামাল হোসেন আছেন কিন্তু তার গণভিত্তি নেই। কিন্তু তাদের জোট জিতলে তিনি সরকার গঠনে বড় ভূমিকায় থাকবেন এটি সত্য। তাই ছোট দল বড় দলের সাথে জোটে জড়িয়ে সুবিধা ভোগ করতে চায়। আবার বড়দলগুলো ছোটদলকে টেনে জোটে কত দলের সংখ্যা আছে সেটিও বোঝাতে চান। যেমন, এমন জোটও আছে যে জোটে ৭০টি ছোট ছোট দল আছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। দেখা গেল ওই জোটে ১০০ জনই নেতা-কর্মী-সমর্থক সবমিলিয়ে। এ যেন ভানুমতির খেল।
নিখিলেশ অমল লেখেছেন, ১৪ দলীয় জোটে এখন কয়দল আছে? খবর নিলে দেখবেন মাত্র ৬টি। বাস্তবে বাকিগুলো নেই।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে। আবার তাদের নিয়ে পুরোনো ২০ দলীয় জোটে আছে। তাই বিএনপি দুই জোটেই আছে বলা যায়।
কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে পরিপূর্ণ মনে না করলেও এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলি, আওয়ামী লীগকেও এ জোটে চান। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :